২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাইডেনের ঘোষণার পরও অনিশ্চিত সৈন্য প্রত্যাহার

সম্প্রতি আফগানিস্তানে দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধ পরিসমাপ্তির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
-

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই দীর্ঘতম যুদ্ধ পরিসমাপ্তির ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও এবং সামরিক পরিকল্পনাবিদরা কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে আলোচনার পরও, এখনো ‘এর বাস্তবায়নের দিক নিয়ে ভাবছেন বলে জানা গেছে।
আফগানিস্তান থেকে ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ সৈন্য প্রত্যাহার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে প্রতিরক্ষা দফতর অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে প্রাথমিক পরিকল্পনাগুলো এখন হাল নাগাদ করা হচ্ছে এবং চূড়ান্ত কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে। কর্মকর্তারা এই সম্ভাবনার কথাও বলেন যে সৈন্যদের নিয়মমতো প্রত্যাহারের সময়ে তাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সাময়িকভাবে কিছু সৈন্য পাঠানো যেতে পারে।
পেন্টাগনের প্রেসসচিব জন কার্বি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাছাকাছি সময়ে আমরা আরো কিছু জানবো কিন্তু সবটাই সম্ভাব্য। আজই আমি বলতে পারব না সেটা ঠিক কেমন হবে। এটা তো যুক্তিসঙ্গত বিষয় যে আপনাকে কিছু প্রায়োগিক সাহায্য নিতে হতে পারে, কিছু প্রকৌশলগত সাহায্যও এবং সৈন্যদের সুরক্ষার ব্যবস্থাও নিতে হবে।’
এ দিকে তালিবান গত বুধবার এক বিবৃতিতে গত বছর দোহা চুক্তিতে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে সব বিদেশী সৈন্য সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে হুমকি দিয়ে লিখেছেন, ‘ওই চুক্তি যদি ভঙ্গ করা হয় এবং সুনির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বিদেশি সৈন্য যদি ফেরত না যায়, তা হ’লে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং যারা ওই চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবে তাদেরকে দায়ী করা হবে।’
‘ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন’ ইরানের শতকরা ৬০ ভাগ হারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরমাণু সমঝোতার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি শনিবার ওয়াশিংটনে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদা সোগার সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় তিন বছর ধরে পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করে গেলেও সে বিষয়টি চেপে গিয়ে বাইডেন বলেন, ইরান শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিক পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা এ বিষয়টিকে সমর্থন করি না। ৬০ ভাগ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে কারো লাভ হবে বলে মনে হয় না। তবে ইরান যে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে তাতে আমরা খুশি। বাইডেন দাবি করেন, ইরান ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করায় ভিয়েনা বৈঠকের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করার সময় এখনো আসেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি গত শুক্রবার বলেন, ইরান ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার যে ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ইরান যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আলোচনার ব্যাপারে দেশটির সদিচ্ছার ঘাটতি ধরা পড়েছে। তিনি ভিয়েনা আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইউরোপীয় দেশগুলোকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। গত রোববার সকালে ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাশকতামূলক হামলা চালানো হয়েছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, এর ফলে এই স্থাপনার কয়েক হাজার সেন্ট্রিফিউজের ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার থেকে ইরান ওই নাতাঞ্জ স্থাপনায়ই শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। এত দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে ইরান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না

সকল