১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গুলির বিপরীতে গুলতি পাথরই ভরসা মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের

-

মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দিন দিন জোরালো হচ্ছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকার গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমনের পদক্ষেপ নিলেও কোনোভাবেই বিক্ষোভকারীদের রাজপথ থেকে সরানো যাচ্ছে না। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ধীরে ধীরে আত্মরক্ষা ও পাল্টা জবাব দেয়ার পথে এগোচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার ঘরে বানানো অস্ত্র, গুলতি আর পাথর।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলে বলেন, সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুরভাবে বিক্ষোভ দমনের কারণে ‘অনেকেই অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন। এ পরিস্থিতির প্রতি সতর্কতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে সিরিয়ার মতোই এক অবস্থার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এবং একটি পুরোপুরি সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।’
মিয়ানমারের অনেক নাগরিকের জন্য ২৭ মার্চ একটি সন্ধিক্ষণ; সে দিন নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে কমপক্ষে ১৫০ জনকে হত্যা করে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠীগুলোর হিসাবে ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দমনাভিযান। তাদের দাবি, এ পর্যন্ত বিক্ষোভ দমনে ৭২৮ জনকে হত্যা এবং কমপক্ষে তিন হাজার জনকে আটক করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াংগুনের শহরতলী থারকেতায় এক বিক্ষোভকারী প্রতিবেদকদের জানান, ২৭ মার্চের হত্যাকাণ্ডের পর তারা ২০ জনের একটি দল গড়ে তুলেছেন। কো থি হা নামে ওই বিক্ষোভকারী বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পথেই ছিলাম। কিন্তু যখন তারা এতগুলো মানুষকে হত্যা করল, তখন আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে এগোনো যায় না। আমাদের পাল্টা জবাব দিতে হবে।’
বিক্ষোভকারীরা হাতে বানানো বন্দুক, পাথর, গুলতি, এয়ারগানের মতো খুবই সাদামাটা অস্ত্র নিয়ে সামরিক বাহিনীর মোকাবেলায় নেমেছেন। হাতের কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে সেসব উপকরণ দিয়েই অস্ত্র বানাচ্ছে তারা। যেমনÑ এয়ারগান বানাতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের পাইপ, গুলি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বল বেয়ারিং। গুলতিতে তারা খেলার গোল মার্বেল বা গোলাকার পাথর ব্যবহার করছে। ঘরে বানানো ধোঁয়াবোমার উপকরণে সাধারণত গান পাউডার বা পটাশিয়াম নাইট্রেট- যা কৃষিতে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়Ñ ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের এসব অস্ত্র যতটা না আক্রমণের জন্য তার চেয়ে বেশি আত্মরক্ষামূলক। তাদের এয়ারগান কোনো মারণাস্ত্র নয়। কিন্তু এটা দিয়ে ১০০ ফুট দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করা যায়। বিক্ষোভকারীরা এটা ব্যবহার করে মূলত সেনাদের এগিয়ে আসার গতি কিছুটা ধীর করার চেষ্টা করে। পালানোর মতো পরিস্থিতি দেখা দিলে ধোঁয়াবোমা ব্যবহার করা হয় যা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সামনে কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল