চীনা ড্রোন দিয়ে বিক্ষোভে নজরদারি মিয়ানমার জান্তার
গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে- রয়টার্স ও ইরাবতী
- ১২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
চীনে তৈরি চালকহীন আকাশযান (ইউএভি) বা ড্রোন ব্যবহার করছে মিয়ানমারের বিমানবাহিনী। দেশটির আন্দোলনকারীদের গতিবিধি নিরীক্ষণ করতেই এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া মিয়ানমারকে ডিজিটাল নজরদারির সিস্টেম, যন্ত্রপাতি এবং নতুন মডেলের ফাইটার জেট দিয়েছে রাশিয়া। ব্রিটিশ ওপেন সোর্স প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রকাশকের সূত্রে জানা গেছে, যেসব এয়ার ভেহিক্যাল দেখা গেছে সেগুলোর মালিক চীন। মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী কিভাবে এগুলো ব্যবহার করছে তা গোপন রেখেছে চায়নিজ এরোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন (সিএএসসি)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো গত মার্চে তোলা। সেগুলোতে মান্দালয়ে নিচু দিয়ে উড়তে থাকা ড্রোন দেখা গেছে। এখানে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
মান্দালয় শহরটি মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর। এখানে দুই ধরনের ড্রোন দেখা গেছে। এগুলো এতটাই নিচ দিয়ে উড়ছিল যে, সেগুলো পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। আরো বলা হয়, ড্রোনগুলো দিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মানুষকে ভয় দেখানোর মানসিক যুদ্ধকৌশল অনুসরণ করা হচ্ছে। জেন্স বলেছে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন ১০ থেকে ১২টি সিএইচ-৩এ ইউএভি মিয়ানমারে ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এগুলো দেয়া হয়েছে এবং ড্রোনগুলো মধ্য মিয়ানমারের মিকটিলা বিমানঘাঁটি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দিকে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের পর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ও বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সাত শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা। গত শুক্র ও শনিবার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছেন। চ্যারিটি ফর পলিটিকাল প্রিজনারসের একটি দৈনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের সংঘর্ষে নতুন এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তিন হাজার ১২ জনকে কারাবন্দী করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা