২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কায় মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের কবর বিচ্ছিন্ন দ্বীপে

মুসলিম কাউন্সিল একে হাস্যকর ও বর্ণবাদী এজেন্ডা বলেছে
-

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের কবর বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এর আগে সংখ্যালঘুদের লাশ পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করা হলেও তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল; কারণ ইসলাম ধর্মে লাশ পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম নেই।
ভারত মহাসাগরের মান্নার উপসাগরে ইরানাথিবু দ্বীপটি করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের কবর দেয়ার জন্য নির্ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এ দ্বীপটি রাজধানী কলম্বো থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে। দাফনের জন্য এ দ্বীপকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে এর কম ঘনবসতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসঙ্ঘ দেশটির এ সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছে।
শ্রীলঙ্কা মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহমদ বলেছেন, এটি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত। একেবারেই বর্ণবাদী এজেন্ডা। কলম্বো গেজেট জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের কবর দিতে দ্বীপটির এক পাশে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেলা।
প্রসঙ্গত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে দাফনের জন্য পর্যাপ্ত গাইডলাইন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু লাশ পুড়িয়ে ফেললে ইনফেকশন ছড়াবে নাÑ এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। জাতিসঙ্গের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, লাশ পুড়িয়ে ফেলার নীতি মুসলিম, ক্যাথলিক ও কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং তাদের পরিবারের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশ্য কিছু মুসলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতারা শ্রীলঙ্কা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এ দিকে ওই দ্বীপের একজন ধর্মযাজক মাধুথিন পাথিনাথার জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়রাও কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। এটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হবে।’ শ্রীলঙ্কায় মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আছে।


আরো সংবাদ



premium cement