২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদির কাছে কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

-

বাইডেন প্রশাসন তাদের মিত্রদেশ সৌদি আরবের কাছে কিছু কিছু অস্ত্র না বেচার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। বিশেষ করে যেসব অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নয়, সে ধরনের অস্ত্রের বিক্রির বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেয়ার কথা ভাবছে নতুন প্রশাসন। এর আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। এবার অস্ত্র বিক্রির বিষয়টা পুনর্মূল্যায়নের আভাস দিয়ে মিত্রদেশটির ব্যাপারে তাদের মনোভাব আরো স্পষ্ট করলেন।
সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসেন এ সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। তবে ইয়েমেনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, মানবাধিকার কমিশনগুলোর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সে সম্পর্ক নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য, ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের খারাপ সম্পর্কের কারণে সৌদি আরবের সাথে তাদের সম্পর্ক কৌশলগত কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব কিছু মাথায় রেখে সম্পর্ক মূল্যায়নের কাজটা করতে হচ্ছে নতুন প্রশাসনকে।
সৌদি আরবের কাছে অস্ত্রবিক্রির আগে বাইডেন প্রশাসন যা ভাবছে, তা হলো, তাদের মিত্রদেশটির জন্য ঠিক কী ধরনের অস্ত্র প্রয়োজন হতে পারে। একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা মূলত আত্মরক্ষামূলক এবং আক্রমণমূলক অস্ত্রগুলো নিয়ে ভাবছি। গত বছরের ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হারের পর ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবের কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল, সেগুলোকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বলে ধরা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব হস্তান্তরের দিন আরব আমিরাতের সাথে ৫০টি জঙ্গি বিমান ও ১৮টি সশস্ত্র ড্রোন কেনার চুক্তি করে বিদায়ী প্রশাসন। ইরানের সম্ভাব্য হামলার প্রতিরোধক হিসেবে এসব অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়া হলে বাইডেন প্রশাসন এখন ওসব চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন করছে বলে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল