১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধ বিমানের প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহর

-

মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বে একটি নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই ‘সমুদ্রের স্বাধীনতার’ প্রতি জোর দিতে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নৌবহর প্রবেশ করেছে। একই দিন চীনের আটটি বোমারু ও চারটি ফাইটার জেট বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাইওয়ানে এতগুলো চীনা যুদ্ধ বিমানের অনুপ্রবেশ বেশ বিরল ঘটনা বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন অভিযোগের পরই অঞ্চলটির ওপর চাপ প্রয়োগ থামাতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা বেইজিংকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বন্ধের আহ্বান জানাই। চাপ প্রয়োগের বদলে বেইজিংকে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে অর্থবহ সংলাপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবহর প্রবেশ করল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিব্রতিতে বলা হয়, নৌবহরটি দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করছিল। এই সাগরের বড় অংশই চীন নিজেদের বলে দাবি করে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘সাগরের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে ও সমুদ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অংশীদারিত্ব বিনির্মাণে’ এই নিয়মিত অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে। নৌবহরের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ডগ ভেরিসিমো বলেন, ‘সমুদ্রে আমার ৩০ বছরের নাবিকের অভিজ্ঞতায় দক্ষিণ চীন সাগর আবার দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার ছিল।’
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই নৌবহরের কমান্ডারের কাছ থেকে এই বিবৃতি এলো। মঙ্গলবার বাইডেনের মনোনীত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্থনি ব্লিঙ্কেন সিনেটে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় চায়না সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। চীন বারবার দাবি করে আসছে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে চীন অধিকৃত দ্বীপগুলোর কাছাকাছি চলে আসছে। এই অঞ্চলের জলসীমা নিয়ে চীনসহ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনেই ও তাইওয়ানের মধ্যেও বিবাদ রয়েছে।
থিওডোর রুজভেল্ট রণতরীর সাথে নৌবহরে টিকনডেরোগা শ্রেণীর মিসাইল বহনকারী জাহাজ ইউএসএস বাঙ্কার হিল, আরলেইঘ বার্ক শ্রেণীর মিসাইল বিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস রাসেল ও ইউএসএস জন ফিন ছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন জানানোর পর থেকে চীনের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাইওয়ানের বিমানে চড়ে পরিদর্শনকালে তাইওয়ান জলপ্রণালির সীমারেখার কিছুটা ভেতরে ঢুকে পড়ে। বেসরকারিভাবে এটি চীন ও তাইওয়ানের নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের বড় অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই সেখানে নৌযান পাঠায়। চীন অভিযোগ করেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ চীনের দখলকৃত দ্বীপের কাছাকাছি। এসব দ্বীপের আশপাশে রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনেই ও তাইওয়ান। সবগুলো দেশই দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২

সকল