২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পম্পেওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ জনের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা

মিথ্যাচার, প্রতারণা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ
-

সদ্যবিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে কাজ করা ২৮ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর নামও রয়েছে এ তালিকায়। মিথ্যাচার, প্রতারণা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে চীন। একইসাথে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসনকে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে বেইজিং।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে চীন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের ২৮ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারা এবং তাদের পরিবার চীনের কোনও এলাকায় ঢুকতে পারবে না। চীনের কোনো গোষ্ঠী বা সংস্থার সাথে ব্যবসা করতে পারবে না।
বুধবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন জো বাইডেন। সেদিনই হোয়াইট হাউজ ছেড় গেছেন ট্রাম্প। তার আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের বিরুদ্ধে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ করেন। তাৎক্ষিণকভাবে এর কোনো জবাব না দিলেও এক দিনের মাথায় পম্পেও’র মেয়াদ শেষে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইংয়ের দাবি, এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার চীনের বিরুদ্ধে অর্থহীন মিথ্যাচ্যার করেছেন পম্পেও।
হুয়া জানিয়েছেন, পম্পেও ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যপ্রধান পিটার ন্যাভারো, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন এবং জন বোল্টন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজারের মতো শীর্ষস্থানীয় ২৮ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাদের পরিবারের কোনো সদস্যও চীনের কোনো এলাকায় ঢুকতে পারবে না। এক সময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হলেও ২০১৯ সাল থেকে তার বিরোধী জন বোল্টন। চীনের ঘোষণা পর তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘নতুন সরকারের শপথগ্রহণের দিনে এই উপহারই পাওয়ার ছিল।’ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্রমশ চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তবে করোনাকালে তা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।


আরো সংবাদ



premium cement