১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
তুরস্ক ও ফ্রান্সের মধ্যে তিক্ততার বরফ গলার আভাস

এরদোগানকে ‘প্রিয় তাইয়্যেব’ সম্বোধন করে ম্যাক্রোঁর চিঠি

-

দীর্ঘ সময়ের তিক্ততা ঝেড়ে ফেলে তুরস্ক ও ফ্রান্সের মধ্যে সুম্পর্কের আভাস মেলেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যক্রোঁর মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক মেরামতের উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয়েছে। এরই মধ্যে দুই নেতার চিঠি চালাচালি হয়েছে। নিজের লেখা চিঠিতে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ‘প্রিয় তাইয়্যেব’ বলে সম্বোধন করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ইসলাম অবমাননাসহ নানা বিষয়ে গত বছরই এরদোগানের আক্রমণের নিশানায় পরিণত হয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্টকে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে দুই নেতার সাম্প্রতিক চিঠি চালাচালিকে উভয় দেশের উত্তেজনায় বরফ গলার প্রমাণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু শুক্রবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানান, নতুন বছর উপলক্ষে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এরদোগান। এতে গত বছর ফ্রান্সে সংঘটিত একাধিক হামলার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ওই চিঠির জবাবে এ সপ্তাহেই একটি ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ চিঠি পাঠিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। তুর্কি প্রেসিডেন্টকে ‘প্রিয় তাইয়্যেব’ সম্বোধন করে লেখা ওই চিঠিতে বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
কাভুসোগলু বলেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইউরোপের জন্য তুরস্কের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। নিকট ভবিষ্যতে তিনি আমাদের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি ইতিবাচক সম্পর্কে গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তুর্কি কর্মকর্তারা জানান, চিঠিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো আঞ্চলিক ইস্যু এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বিনিময়ে পারস্পরিক সমঝোতার মতো বিষয়গুলোর প্রতি ইঙ্গিত ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে বিস্তারিত জানানো না হলেও চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্যারিস বলছে, তারা এখন আঙ্কারার স্পষ্ট জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
এমন সময়ে এ চিঠি চালাচালির ঘটনা ঘটল যখন ভূমধ্যসাগরে সাইপ্রাসের উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান তৎপরতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছেন তুর্কি কর্মকর্তারা। তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পায় আজারবাইজান। আর্মেনিয়ার পক্ষ নিয়েছিল ফ্রান্স। লিবিয়াতেও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসছে ফ্রান্স। তবে সেখানেও তুরস্কের সমর্থন রয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ সভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝুলন্ত নারীর লাশ উদ্ধার

সকল