২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইরাক-আফগানের চেয়েও বেশি সৈন্য ওয়াশিংটন সামলাতে

হক্যাপিটলে হামলার মতো ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে ১৫ হাজার গার্ড মোতায়েনের অনুমোদন
-

নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে হামলার পর থেকে ইরাক-আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কথিত ‘শান্তিরক্ষা’র অজুহাতে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিদেশের চেয়ে নিজেদের রাজধানীতেই শান্তি বজায় রাখতে যে আরো বেশি নিরাপত্তারক্ষীর দরকার পড়বে, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি মার্কিন নীতিনীর্ধারকরা। অথচ সেটাই এখন বাস্তবতা।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ২০ জানুয়ারি ভয়াবহ সহিংস বিক্ষোভ দেখাতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। সেই শঙ্কা থেকেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান সামনে রেখে ওয়াশিংটনে ১০ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইরাক ও আফগানিস্তানে মোতায়েন মোট মার্কিন সেনার প্রায় দ্বিগুণ। মুসলিমপ্রধান দেশ দু’টিতে বর্তমানে পাঁচ হাজারের মতো সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনে ছয় হাজার ২০০ জন গার্ড সদস্য পৌঁছেছেন। রাজধানীর ‘শান্তিরক্ষা’য় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাকি সদস্যরাও আসতে শুরু করেছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগেই বাকি নিরাপত্তা সদস্যরা ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাবেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ক্যাপিটল ভবনের বিভিন্ন জায়গায় মেঝেতে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ হাত থাকা অস্ত্র ঠিকঠাক আছে কি না, তা পরীক্ষা করছেন। ন্যাশনাল গার্ডের চিফ জেনারেল ড্যানিয়েল হোকানসন জানিয়েছেন, ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার মতো ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে ১৫ হাজার গার্ড সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের দাঙ্গায় এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারান। বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে এরচেয়েও বড় সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটি বলছে, সশস্ত্র কিছু গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement