২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মৌলিক সেবার বদলে ঋণ মেটাচ্ছে নিম্নআয়ের দেশগুলো : জাতিসঙ্ঘ

করোনার প্রভাব
-

করোনাভাইরাস মহামারীতে চরম সঙ্কটে বিশ্ব অর্থনীতি। উন্নত ও বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো এই ধাক্কা কোনো মতে সামলাতে পারলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অবস্থা শোচনীয়। তাদের পক্ষে জনগণের মৌলিক সেবা নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক মাধ্যম থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ একসাথে চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই যেকোনো একটি পথ বেছে নিতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের দেশগুলোকে। বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে এ কথা বলেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনি গুতেরেস।
এ দিন করোনা মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেও জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, সঙ্কটের তুলনায় সেগুলো একেবারেই অপর্যাপ্ত। তিনি বলেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো জনগণের মৌলিক সেবা ও ঋণ পরিশোধের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তারল্য সঙ্কট এড়াতে তাদের তাৎক্ষণিক সাহায্য দরকার।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর প্রথমবার আয়োজিত জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনেও ভ্যাকসিন সার্বজনীন হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন সংস্থাটির মহাসচিব। তবে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলেও এ মহামারী বিশ্বের যে ক্ষতি করছে, তার প্রভাব আরো কয়েক দশক থেকে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
গুতেরেস বলেন, নিজেদের বোকা না বানাই। আগামী কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশকজুড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি থাকবে, একটা ভ্যাকসিন তা পূরণ করতে পারবে না। বিশ্বে মহামারীর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য বাড়ছে, দুর্ভিক্ষের হুমকি প্রকট। আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মন্দার মুখে আমরা।
এ সময় আগামী দুই মাসের মধ্যে বৈশ্বিক করোনা তহবিলের ৪৩০ কোটি ডলার ঘাটতি পূরণে অবদান রাখতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব। দুই দিনব্যাপী এ অধিবেশনে শুক্রবার তিনটি প্যানেলে আলোচনা হবে। প্রথমটি কোভিড-১৯ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের পদক্ষেপ, দ্বিতীয়টি ভ্যাকসিন নিয়ে এবং তৃতীয়টিতে থাকবে করোনার আঘাত পুনরুদ্ধার। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এ তিনটি আলোচনাতেই যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement