২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অমিত শাহের আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ভাবছেন ভারতের কৃষকরা

কৃষি আইন বাতিল চেয়ে আন্দোলন
-

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শর্তসাপেক্ষে আলোচনার যে প্রস্তাব আন্দোলনরত কৃষকদের দিয়েছেন; তা গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে বৈঠক করবেন তারা। কৃষি আইন বাতিল চেয়ে গতকাল রোববার টানা চতুর্থ দিনের মতো দিল্লির ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করছেন কৃষকরা। তবে এই আন্দোলনের মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘নতুন আইন কৃষকদের জন্য অনেক সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।’
রোববার ‘মন কি বাত’ নামে তার নিয়মিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এমন কিছুর চাওয়া কৃষকদের দীর্ঘ দিন ধরেই ছিল। কিন্তু বিভিন্ন দল তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেনি। এবার তা পূরণ করা হচ্ছে।’ অনেক বিবেচনার পরে, ভারতের পার্লামেন্ট কৃষি সংস্কারগুলোকে একটি আইনি রূপ দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো কেবল আমাদের কৃষকদের বেচাকেনা করাই নয়; তাদেরকে নতুন অধিকার এবং সুযোগও দিয়েছে। স্বল্প সময়েই তারা সেটার সুবিধাও পেতে শুরু করবে।’
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, সরকার কৃষকদের সব ধরনের সমস্যা ও চাহিদার বিষয়ে ভাববে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৫০০ প্রতিষ্ঠানের একটি ‘পাঞ্জাব কিসান ইউনিয়ন’- এর প্রেসিডেন্ট রুলদু সিং বলেন, কেন্দ্রের সাথে কিভাবে আলোচনায় বসা যায় সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা তখনই তাদের সাথে কথা বলব, যখন তারা সেজন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানাবে।
দিল্লির বাইরের নারেলার কাছে সিঙ্গু সীমান্তে অবস্থান করা রুলদু বলেন, কৃষক আইন ছাড়াও তারা বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলেরও প্রত্যাহার চায়। আন্দোলনে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকদের সমর্থনে যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্র প্রদেশের কৃষকরা। নতুন আইনে ভারতে কৃষিপণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও গুদামজাতকরণের নিয়মে পরিবর্তন আসবে। যে নিয়ম ভারতের কৃষকদের গত কয়েক দশক ধরে মুক্তবাজার থেকে রক্ষা করেছে। কৃষকরা চাইলে যে কারো কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আগে যা কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের কাছেই বিক্রি করতে হতো। নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত আসবে আশঙ্কা থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।


আরো সংবাদ



premium cement