২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজায় দারিদ্র্যসীমার নিচে লাখো ফিলিস্তিনি : জাতিসঙ্ঘ

-

ইসরাইল কর্তৃক অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলদার বাহিনীর অবরোধে অঞ্চলটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার। দারিদ্র্যসীমার নিচে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে সেখানকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এমনটাই উঠে এসেছে বুধবার প্রকাশিত জাতিসঙ্ঘের এক নতুন রিপোর্টে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর এভাবে হামলে পড়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি)। বুধবার জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে রিপোর্টটি উত্থাপন করা হয়। এতে ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এতে অবিলম্বে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইউএনসিটিএডি’র ফিলিস্তিনি সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারী মাহমুদ আলখাফিফ বলেন, অন্যায্য এই অবরোধের ফলে গাজার অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে দিনাতিপাত করছে অন্তত ৫৬ শতাংশ মানুষ। অবরোধ অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে। মাহমুদ আলখাফিফ বলেন, গাজার ২০ লাখ লাখ বাসিন্দার ওপর থেকে এই অনর্থক অবরোধ অবিলম্বে তুলে নেয়া উচিত। তাদের অবাধে চলাফেরা এবং বাইরের দুনিয়ার সাথে বাণিজ্যের সুযোগ দেয়া উচিত। উপত্যকার বাইরে থাকা পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ দেয়া উচিত।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলছে, গাজাবাসীর প্রাত্যহিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে দখলদার বাহিনী আগ্রাসী নীতির আশ্রয় নিয়েছে। তারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নীরবতার সুযোগ নিচ্ছে।
২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। বাইরের দুনিয়া থেকে অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নিয়মিত সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে ইসরাইল। ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা।
এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সাথেই বাস করতে হচ্ছে সেখানকার ২০ লাখ বাসিন্দাকে। জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। এর মধ্যেই ইসরাইলি তাণ্ডব তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement