২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতিসঙ্ঘকে ভারতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দলিল দিলো পাকিস্তান

-

ভারত ‘সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদ’ বিস্তৃতি ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে মঙ্গলবার এর পক্ষে প্রমাণ জমা দিয়েছে পাকিস্তান।
কাশ্মিরে হামলার চেষ্টা করার অভিযোগে পাকিস্তানের যোদ্ধাদের অভিযুক্ত করে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নয়াদিল্লি একটি অভিযোগ জানানোর একদিন পরই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ জানাল দেশটি। জাতিসঙ্ঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম ‘সন্ত্রাসবাদে’ পৃষ্ঠপোষকতা করে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসঙ্ঘের সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদ ও নীতি লঙ্ঘনের বিষয়টি খেয়াল রাখতে গুতেরেস ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে পাকিস্তান। অবৈধ ও আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতকে চাপ প্রয়োগ করুন।
জাতিসঙ্ঘে ভারতের মিশন
এ মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সামরিক মুখপাত্র ভারতের সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করার বিবরণ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেছেন, ভারত সরকার এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং বালুচ সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে পাকিস্তানি মাটিতে হামলা চালানোর জন্য অর্থায়ন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে এই জাতীয় অভিযোগ ও পাল্টা-অভিযোগের ঘটনা নতুন নয়। তবে এবারে পাকিস্তানের অভিযোগ ছিল একেবারেই সুনির্দিষ্ট, যার মধ্যে ছিল অভিযুক্ত ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্টদের নাম, অভিযুক্তদের সভার তারিখ, ফোন কথোপকথনের অডিও ক্লিপ এবং ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের দলিল-প্রমাণাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল; যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।
‘আন্তর্জাতিক মনোযোগ সরানোর চেষ্টা’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। এসব অভিযোগ সমর্থনযোগ্য নয়। নিজেদের সন্ত্রাসবাদ চালানোকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এসব মিথ্যা বিবরণ ভারতের বেপরোয়া প্রচেষ্টাগুলোর প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়।


আরো সংবাদ



premium cement