তিগ্রাইয়ের রাজধানী ঘেরাও ইথিওপীয় বাহিনীর
- রয়টার্স
- ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
বিদ্রোহী তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) আত্মসমর্পণের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়ার পর তিগ্রাই অঞ্চলের রাজধানী ঘিরে ফেলতে শুরু করেছে ইথিওপিয়ার বাহিনী। সোমবার ইথিওপিয়ান ফেডারেল বাহিনী তিগ্রাইয়ের রাজধানী মেকেল্লের চারপাশ ঘিরে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেয়ায় দাবি করেছে। ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র রেদওয়ান হুসেইন বলেন, শেষের শুরু এখন হাতের নাগালে।
ও দিকে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদ হুমকির সুরে বলেন, টিপিএলএফকে বুধবারের মধ্যে অস্ত্র নামিয়ে রেখে আত্মসমর্পণ করতে হবে। নতুবা মেকেলে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে। অন্য দিকে টিপিএলএফ নেতা দেব্রেতশন গ্যাব্রিমিকায়েল তাদের রাজধানী ঘিরে ফেলার খবর অস্বীকার করে রয়টার্সকে বলেন, আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম ঘোষণার আড়লে সরকারি বাহিনী আসলে নিজেদের পুনর্গঠন করতে চাইছে। কারণ তারা তিনটি যুদ্ধক্ষেত্রেই আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছে। তা ছাড়া ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত সেনাবাহিনীর ২১তম মেকানাইজড ডিভিশনকে ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলফ)। বাহিনীটির মুখপাত্র গেতাচিউ রেদা মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় তিগ্রাই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ‘বড় অগ্রগতির’ দাবি করেছেন। টিপিএলফের এ দাবি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ইথিওপিয়ার সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স তার এই দাবি যাচাই করে দেখতে পারেনি। যুদ্ধের কারণে সেখানে ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। টিপিএলএফ ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে অভিযোগ তুলে গত ৪ নভেম্বর থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
তিগ্রাইয়ের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা প্রাণ রক্ষা করতে বাড়িঘর থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড়ি তিগ্রাই অঞ্চলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের বাস। এই যুদ্ধ শুধু ইথিওপিয়াতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে না বরং ‘আফ্রিকার শিং’ এ অবস্থিত প্রতিবেশী দেশেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে সোমবার ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা