২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফেসবুকে ইসলাম বিদ্বেষ বন্ধে জাকারবার্গকে ইমরান খানের চিঠি

-

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গকে চিঠি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষ সম্পর্কিত কনটেন্ট নিষিদ্ধ করে দিতে এ চিঠি লিখেছেন তিনি। রোববার পাকিস্তান সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। এরপর সে চিঠি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারেও পোস্ট করেছে ইসলামাবাদ।
চিঠিতে ইমরান খান বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ইসলাম বিদ্বেষ ‘বিশ্বজুড়ে চরমপন্থা ও সহিংসতাকে উৎসাহিত’ করছে। বিশেষত ফেসবুকের মতো সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব হচ্ছে। আমি আপনাকে আহ্বান জানাব, ইসলাম বিদ্বেষের ওপর অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে। ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ফেসবুকের মাধ্যমে যেন না ছড়ায়।
উল্লেখ্য, এ মাসে ফেসবুক বলেছে, তারা ঘৃণা ছড়িয়ে দেয় এমন কন্টেন্টের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নীতি আধুনিকায়ন করছে। এর মধ্যে হলোকাস্টকে প্রত্যাখ্যান করে বা বিকৃত করে এমন বিষয়কে নিষিদ্ধ করার কথা। সেই পদক্ষেপের উল্লেখ করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেছেন, এক গ্রুপের কাছে অগ্রহণযোহগ্য অথবা অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্যÑ এমন ঘৃণাপ্রসূত মেসেজ কেউ পোস্ট করতে পারে না। ইমরান খান বলেন, এমন পক্ষপাতমূলক অবস্থান উগ্রবাদকে আরো উৎসাহিত করবে। জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ফেসবুক সব রকম ঘৃণার বিরোধী। জাতি, বর্ণ, জাতীয়তা অথবা ধর্মÑ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে আক্রমণ করাকে অনুমোদন করে না ফেসবুক। তিনি আরো বলেন, যখনই আমরা এমন কন্টেন্টের বিষয় পাবো ফেসবুকে, তখনই এ জাতীয় ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য মুছে ফেলব। এ জন্য ফেসবুককে অনেক কাজ করতে হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ফেসবুকের স্বচ্ছতাবিষয়ক রিপোর্ট বলছে, এমন অনুরোধের দিক থেকে রাশিয়ার পরেই পাকিস্তানের অবস্থান। তারা বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট মুছে দেয়ার অনুরোধের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। পাকিস্তান থেকে ইসলাম সংশ্লিষ্ট কন্টেন্ট মুছে দেয়ার অনুরোধ গেছে ফেসবুকে বেশি।
ফেসবুকের কাছে পাঠানো চিঠিতে ইমরান খান ফ্রান্স পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সেখানে সন্ত্রাসের সাথে ইসলামকে যুক্ত করে ফেলা হচ্ছে। এর আগে ইমরান খান বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মুসলিমদের প্রাণের চেয়েও প্রিয় মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা:-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন। ফরাসি যে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবী সা:-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে শিক্ষা দিচ্ছিলেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধীনে ওই শিক্ষক ব্যঙ্গচিত্র ব্যবহার করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement