প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করায় ফের আন্দোলনে থাই বিক্ষোভকারীরা
- বিবিসি
- ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ও-চা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় গতকাল রোববার আবারো রাস্তায় নেমেছে গণতন্ত্রীপন্থী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সাবেক সেনাপ্রধান ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। গত কয়েক মাস তিনি ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের চাপে রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে।
বুধবার আন্দোলনকারীরা থাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করায় অ্যাক্টিভিস্ট পাই রোববার বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। এ দিকে শনিবার প্রায়ুথ ব্যাংককের ঐতিহাসিক একটি মন্দিরে প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। তবে তা আইনের আওতায় হতে হবে।
এর আগে আন্দোলন বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা জারি করে চারজনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করে। অন্য দিকে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সোমবার দেশটিতে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হহলেও বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথকে তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগের সময় বেধে দিয়েছিল। বিক্ষোভ ও সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ‘যথেষ্ট নয়’ বলেও জানিয়েছিল তারা। ওই ডিক্রিতে জারি করা নিষেধাজ্ঞা দেশটির বাসিন্দাদের ক্ষোভ আরো উসকে দিয়েছিল; রাজধানী ব্যাংককের সড়কগুলোতে টেনে এনেছিল লাখ লাখ মানুষকে। রাজনৈতিক সমাবেশে পাঁচজন বা তার বেশি জমায়েত এবং নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে এমন খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞাসহ যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে রাত ১২টা থেকে সেগুলোর ইতি টানার ঘোষণা দেয়া হয়।
গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারির পেছনে রানি সুথিদার গাড়িবহর বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে পড়ার ঘটনাটিকে উল্লেখ করা হলেও মূলত কয়েক বছরের মধ্যে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হওয়া বিক্ষোভ দমাতেই এটি দেয়া হয়েছিল বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা সিরাউইথ ‘যা নিউ’ সেরিতিওয়াত বলেছেন, ‘জনগণের দাবি উপেক্ষা করে তিনি (প্রায়ুথ) এখনো ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। জরুরি ডিক্রি জারি করা তো উচিতই হয়নি’। থাইল্যান্ডের সরকার বিক্ষোভ দমনের চেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কয়েক ডজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া সুপরিচিত কয়েকজনও ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা পাতসারাভালি মাইন্ড থানাকিতভিবুলপনকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছিল; বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পেয়েছেন। ২৫ বছর বয়সী এ তরুণী জানান, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল আদালত সেগুলোকে গুরুতর মনে করেনি, এ ছাড়া তার ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেয়াও জরুরি ছিল। যে কারণে সহজেই জামিন মিলেছে তার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা