২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি

জাতিসঙ্ঘের উপ-বিশেষ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হাত মিলাচ্ছেন লিবিয়ার আরব বাহিনীর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলামামি (বামে) ও জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধি আহমদ আলী আবুশাহামা : এএফপি -

জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগে লিবিয়ার দুই পক্ষ ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। জেনেভায় পাঁচ দিন আলোচনার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া নিয়ে এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এলো। গতকাল শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘের মিশন। এতে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর উৎসব দেখা যায়।
শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, লিবিয়ায় যুদ্ধরত উভয় পক্ষের সামরিক প্রধানরা আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। একে ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসঙ্ঘ। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলা দেশটিতে শান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছেন জাতিসঙ্ঘের দূত স্টিফেন টুরকো উইলিয়ামস। এতে স্বাক্ষর করেছে খলিফা হাফতারের বাহিনী এলএনএ এবং ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার জিএনএ। ক্ষমতার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসে তিউনিসিয়ায় বসবে দুই পক্ষ।
এখনো জাতীয় পর্যায়ে এই চুক্তির প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ রয়েছে। তবে পুরোপুরি শান্তিকালীন সময়ের মতো অবস্থায় পৌঁছাতে সময় লাগবে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, বিদেশী যোদ্ধা এবং বন্দীদের বিষয়ে দুই পক্ষ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল এলএনএর দখলে চলে গিয়েছিল। এমনকি রাজধানী ত্রিপোলির একেবারে কাছে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়। এর মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় জাতিসঙ্ঘ। যার প্রেক্ষিতে জেনেভায় জিএনএ ও এলএনএ প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন।
লিবিয়ার জাতিসঙ্ঘ মিশন জানায়, লিবিয়ার দলগুলো দেশজুড়ে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। লিবিয়ার স্থিতিশীলতা ও শান্তির দিকে যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এটি। ২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার মতো লিবিয়াতেও গৃহযুদ্ধে সূচনা হয়। ন্যাটো সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘসময়ের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
কয়েক বছরের সঙ্ঘাতের পর জাতিসঙ্ঘের সহায়তায় সরকার গঠিত হয় লিবিয়ায়। রাজধানী ত্রিপোলিভিত্তিক এ সরকারের লক্ষ্য ছিল দেশকে এক করা। কিন্তু সবাই এতে সম্মত হয়নি এবং জেনারেল হাফতার নিজেই ক্ষমতা চান। তিনি তবরুক ও বেনগাজি শহরকে ভিত্তি করে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) গঠন করেন এবং ত্রিপোলি সরকারের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যান।


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য বেনাপোল সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক ৪ বিভাগে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি!

সকল