২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

এক দিন আগেই প্রতিশ্রুতি দিতে ট্রাম্প অস্বীকৃতি জানান

নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি রিপাবলিকানদের
-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতারা। গত বৃহস্পতিবার সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জিতুন না কেন, আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি তার অভিষেক শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। আর সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, নির্বাচন নিরাপদ ও সুষ্ঠু হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা এ আশ্বাস দিয়েছেন।
ট্রাম্প এর আগে গত বুধবার নির্বাচনে হেরে গেলেও ফল মেনে নেবেনÑ এমন প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন ‘কী হয়, দেখা যাক’ । বৃহস্পতিবারও তিনি ডাকযোগে ভোট নিয়ে নিজের সন্দেহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার এ সন্দেহ উড়িয়ে দিয়েছেন। ডাকযোগে ভোট ‘নিরাপদ’ বলেও ভাষ্য তাদের। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার ডাকযোগে অনেকেই ভোট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর। ট্রাম্প তা না করলে, বা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফল মেনে না নিলে দেশটি সাংবিধানিকভাবে বিপদে পড়ে যেতে পারে। তেমনটা হলে সামরিক বাহিনী ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে সরিয়ে দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
গত বৃহস্পতিবার টুইটারে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা ম্যাককনেল বলেছেন, ১৯৭২ সালের পর থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর যে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, এবারও তেমনটাই হবে’। এর আগে রিপাবলিকান সিনেটর মিট রমনিও বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। এর অন্যথা হলে দেশের অবস্থা হবে বেলারুশের মতো। একজন প্রেসিডেন্ট এই সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতিকে সম্মান দেখাবেন নাÑ এমন কোনো ধরনের ইঙ্গিত অকল্পনীয় এবং তা মেনে নেয়া যায় না।’ ট্রাম্পঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লিন্ডসে গ্রাহাম নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement