১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে নারাজ ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
-

নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কি না; এ ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষ্য, পরাজিত হলে আগে দেখতে হবে আসলে কী ঘটেছে। ডাকযোগে ভোটের ব্যাপারে আবারো সন্দেহের কথা জানিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
আগেও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্নে ট্রাম্পের উত্তর ছিল, ফল দেখেই তিনি বলতে পারবেন ক্ষমতা ছাড়বেন কি না। বুধবার হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার বিশ্বাস মহামারীর সময় ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো দরকারই হতো না।
যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না। কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারো কারো ভোট দিতে সমস্যা হয়। এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সে দেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে। এ বছর করোনা সঙ্কটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ডাকযোগে বা মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। এমনকি ভোট-জালিয়াতি হতে পারে বলে ডেমোক্র্যাটদের দিকে আঙুলও তুলেছেন তিনি।
ডাকযোগের ব্যালট সরিয়ে নিলে সবই শান্তিপূর্ণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো প্রয়োজন হবে না; অর্থাৎ তার পরাজিত হওয়ার কোনো কারণই নেই। ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা অন্যদের চেয়ে বেশি জানেন যে ডাক ব্যালট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে।
ডাক ভোটের কারণে ফলাফল চূড়ান্ত হতে বিলম্ব হলে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝামেলা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই ডাকযোগে ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞ এবং ভোট কর্মকর্তারা ট্রাম্পের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলছেন এই প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি কিংবা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই প্রক্রিয়া নিয়মিত ব্যবহার করেছেন।
সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এখনো বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় এগিয়ে আছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতেও দুই প্রার্থীর অবস্থান খুব কাছাকাছি। এর ফলে এবারের নির্বাচনের ফলাফল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং ডাকযোগে ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু

সকল