২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে এরদোগান-অ্যাঞ্জেলা আলোচনা

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান
-

পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে তুরস্কের সাথে আলোচনা করেছে জার্মানি। বুধবার এক ফোনালাপে এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মারকেল। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ ইস্যুতে একতরফা গ্রিসের পক্ষ না নিয়ে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান এরদোগান। এ সময় দুই নেতা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট উত্তরণের ওপর জোর দেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফোনালাপে এরদোগান পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি নিয়ে তুর্কি-গ্রিস বিবাদ নিরসনে আলোচনার ওপর জোর দেন। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি করতে হবে।
এরদোগান বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত এ ইস্যুতে একটি ন্যায়সঙ্গত অবস্থান নেয়া। তুরস্ক আলোচনায় প্রস্তুত। তবে একই সাথে আঙ্কারা তার অধিকারের সুরক্ষার নীতি থেকে সরে আসবে না। ফোনালাপকালে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, গোয়েন্দা বিভাগের চেয়ারম্যান হাকান ফিদানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এরদোগানের পাশে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ব ভূমধ্যসাগর ইস্যুতে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে জার্মানি।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উভয়পক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ ইস্যুতে সোমবার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগর পরিস্থিতি ছাড়াও তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাস (টিআরএনসি) নিয়েও কথা হয় দুই নেতার।
এ দিকে তুরস্কের সাথে বিবাদের মধ্যেই সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে গ্রিস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, তার দেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করবে। এর মধ্যে ফ্রান্সের তৈরি ১৮টি রাফাল যুদ্ধবিমান, চারটি ফ্রিগেট ও চারটি নেভি হেলিকপ্টারও রয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের অশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে গ্রিস ও সাইপ্রাস আপত্তি তুললে এ উত্তেজনা তৈরি হয়। এটি ক্রমেই আরো জটিল আকার ধারণ করছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘গ্রিস হয় রাজনীতি ও কূটনীতির ভাষা বুঝবে, না হয় তাদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হবে। তুরস্কের জনগণ যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’

 

ডেইলি সাবাহ ও বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল