২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইসরাইলের সাথে আমিরাতের চুক্তির নিন্দায় তুরস্ক-ইরান-ফিলিস্তিন

মাহমুদ আব্বাস -

ইসরাইলের সাথে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চুক্তির কঠোর নিন্দা করেছে তুরস্ক ও ইরান। তেমনি এ চুক্তিকে জেরুসালেম ও আল-আকসা মসজিদের সাথে আমিরাতের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিন।
তুরস্ক এটিকে আমিরাতের শঠতাপূর্ণ আচরণ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং এ চুক্তি হলে আমিরাতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের হুমকি দিয়েছে। ইরান বলেছে, ফিলিস্তিনসহ গোটা মুসলিম উম্মাহর পিঠে খঞ্জর বসিয়েছে আরব আমিরাত। তবে এ চুক্তিকে সমর্থন করেছে মিসর ও জর্দান। তুরস্ক বলেছে, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চুক্তিতে সম্মত সংযুক্ত আরব আমিরাত যে শঠতাপূর্ণ আচরণ করেছে, ইতিহাস তা কখনো ভুলে যাবে না এবং ক্ষমা করবে না। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই চুক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়া সঠিক। নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে ফিলিস্তিনি স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আমিরাত যে শঠতাপূর্ণ আচরণ করেছে, ইতিহাস ও এ অঞ্চলের জনগণের বিবেক তা কখনো ভুলে যাবে না এবং ক্ষমা করবে না। আরব লিগ ২০০২ সালে যে আরব শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল, আরব আমিরাতের তা একতরফাভাবে উপেক্ষা করার চেষ্টা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, আবুধাবি এ কাজ করে কৌশলগত নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে এবং এর অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে প্রতিরোধ অক্ষ শক্তিশালী হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অবৈধ ও মানবতাবিরোধী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত চরম বিপজ্জনক কাজ করেছে। এই ঘটনার জের ধরে পারস্য উপসাগরে সম্ভাব্য যেকোনো পরিণতির জন্য আবুধাবিসহ এ অঞ্চলে তার সহযোগী সরকারগুলোকে দায়ী থাকতে হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই ইসরাইল-আমিরাত চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিন টিভিতে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ এক বিবৃৃতিতে বলেন, এই পদক্ষেপকে আরব শান্তি উদ্যোগ এবং আরব ও ইসলামিক সম্মেলনে নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতি আঘাত। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবেই দেখছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব। ‘লজ্জাজনক’ এই চুক্তি থেকে আমিরাতকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব বলেছেন, আমিরাত যা করছে, সেটি ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করছে এবং এটিকে জেরুসালেম, আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে। চুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে আরব লিগ ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
মাহমুদ আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলোর নতিস্বীকার, আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরাইলি দখলদারিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সতর্ক করেন। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির ফলে ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিমতীরের দখলি পরিকল্পনা বন্ধ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বয়ে আনবে। এতে করে একটি নতুন দিশা দেখাবে, যা এই অঞ্চলে দুর্দান্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল