ভেনিজুয়েলাগামী ইরানের জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র

করোনার তাণ্ডবের মধ্যেই ইরানের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতের পথে হাঁটল যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জ্বালানি পাঠানোর জেরে প্রথমবারের মতো ইরানের চারটি জ্বালানিবাহী জাহাজ জব্দ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় নতুন করে সঙ্ঘাতের সূত্রপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরান ওই জাহাজগুলো ভেনিজুয়েলার উদ্দেশে পাঠিয়েছিল।
মার্কিন কৌঁসুলিরা গত মাসে ইরানের চারটি ট্যাংকার জব্দ করতে মামলা করেন। ইরানের ওই ট্যাংকারগুলোয় গ্যাসোলিন নিয়ে ভেনিজুয়েলায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই মামলার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল ইরানে তেল বিক্রি থেকে রাজস্বের প্রবাহ বন্ধ করে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক চার বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি আরেক শত্রু ভেনিজুয়েলাকে শিক্ষা দেয়া। ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। তবে তেহরানের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি লুনা, পান্ডি, বারিং ও বেলা নামে ওই চার জাহাজ সাগরপথে জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো হিউস্টনের পথে রয়েছে। একজন কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীকে কাজে না লাগিয়েই জাহাজগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
করোনার সংক্রমণের কারণে ইরানের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। অর্থনৈতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতির চাকা প্রায় অচল। ইরানের ওপর জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া অস্ত্রবিষয়ক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত। ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।