২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দিলো লেবানন পার্লামেন্ট

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ
-

গত সপ্তাহে রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতির বিষয়টি উদ্ধৃত করে লেবাননের পার্লামেন্ট দেশজুড়ে জরুরি অবস্থার অনুমোদন করেছে। এতে করে ক্ষমতা গ্রহণে সেনাবাহিনীর পথে আর কোনো বাধা রইল না।
গত ৫ আগস্ট বৈরুতে ২ সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের জরুরি তহবিল। ওই ঘোষণার আট দিনের মাথায় জরুরি অবস্থার আইনগত বৈধতা দিতে পার্লামেন্টে ভোট নেয়া হয়। যদিও জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধেও ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল পার্লামেন্টে।
জরুরি অবস্থা সেনাবাহিনীকে বাক স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করতে এবং সেইসাথে বাড়িতে প্রবেশ করে নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত যে কাউকে গ্রেফতার করতে অনুমোদন দেয়। বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম দেশটির সামরিক আদালতে অনুষ্ঠিত হবে, যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে যথাযথ প্রক্রিয়া মানের সাথে খাপ খায় না। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে, এটি বিস্ফোরণের পরে ক্ষমতাসীন শ্রেণীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনসাধারণের বিক্ষোভকে দমন করতে কাজে লাগানো হবে। গত ৪ আগস্ট বৈরুতের বন্দরের ১২ নম্বরে হ্যাঙ্গারে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত ৬ হাজারের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, স্থাপনা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ।

 


আরো সংবাদ



premium cement