শতাধিক অস্ত্র-সরঞ্জাম আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
প্রতিরক্ষা শিল্প জোরদারের উদ্যোগ- রয়টার্স
- ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
দেশে প্রতিরক্ষাসামগ্রী তৈরিতে জোরারোপের অংশ হিসেবে ১০১ ধরনের সামরিক সরঞ্জাম আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। আগামী চার বছরে ক্রমেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গতকাল রোববার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। দেশটি বেশির ভাগ অস্ত্র আমদানি করে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল থেকে। গত জুনে লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় ২০ সেনা জওয়ান নিহত হওয়ার পর প্রতিরক্ষা নিয়ে তটস্থ হয় ভারত। এরপর সামরিক ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়। ওই ঘটনার পরপরই জুলাইয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ৩৩টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ক্রয় ছাড়াও ৫৯টি যুদ্ধবিমান আধুনিকায়নের অনুমোদন দেয়।
ভারত ও চীনের মধ্যে এখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সামরিক উত্তেজনা চলছে। বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে দুই দেশের সেনারা। এ নিয়ে গত দুই মাসের বেশি ধরে কয়েক দফায় উভয়ে দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হলেও উত্তেজনা কমেনি। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে প্রতিরক্ষা খাতে কম তহবিল বরাদ্দ দেয়ায় যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও পদাতিক বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র-সরঞ্জামের সঙ্কট রয়েছে ভারতের।
রাজনাথ সিং এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরশীলতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। তিনি বলেন, ‘অস্ত্র-সরঞ্জাম আমদানিতে এই নিষেধাজ্ঞা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ক্রমেই বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে অবহিত করা, যাতে তারা লক্ষ্য উপলব্ধি করে আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হয়।’
ঐতিহ্যগতভাবে ভারত রাশিয়ার থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে। কিন্তু দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল থেকে আমদানি বাড়িয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয়বহুল অস্ত্র আমদানি বন্ধ করার কথা বলে আসছিলেন। আর এমন পদক্ষেপ তার ওই আহ্বানের ফল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা