২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য প্রদানের প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো

-

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সাথে তুরস্ক সীমান্তে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষকে জাতিসঙ্ঘ থেকে দেয়া মানবিক সহায়তা প্রদানের মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) এই সহায়তার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব উঠলে তাতে ভেটো দিয়েছে দুই স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া। জাতিসঙ্ঘ বলছে, সিরিয়ার লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে বিদ্রোহী অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এসব বাসিন্দা জাতিসঙ্ঘের ওই মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছে। এটাকে তাদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে বর্ণনা করছে জাতিসঙ্ঘ।
নিরাপত্তা পরিষদে জার্মানি-বেলজিয়ামের পক্ষ থেকে ওই মানবিক সাহায্যে মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর খসড়া প্রস্তাব তোলা হয়; কিন্তু অস্থায়ীসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্যরাষ্ট্র এর পক্ষে সমর্থন দিলেও রাশিয়া এবং চীন প্রস্তাবটি পাসে ভেটো দিয়েছে। মূলত সিরিয়ায় আসাদ সরকারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন এর কারণ। এই অনুমোদন পেলে তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে দামেস্ক সরকারের অনুমতি ছাড়াই ওসব অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কর্তৃত্ব পায় জাতিসঙ্ঘ। কিন্তু বাসার আল-আসাদ সরকারের মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন ও রাশিয়া বলছে, সিরিয়া থেকেই মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব। শুক্রবার থেকে মানবিক সাহায্য দেয়ার মেয়াদ শেষ হয়। বিষয়টি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয়বারের মতো প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো প্রস্তাবে ভেটো দিলো রাশিয়া ও চীন। বেশির ভাগ দেশ পক্ষে থাকলেও দুই দেশের ভেটোর কারণে তা পাস করানো যায়নি। ছয় বছর আগে এর কর্তৃত্ব পায় জাতিসঙ্ঘ। যেখানে জর্দান ও ইরাক আন্তঃসীমান্ত থেকেও ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে রাশিয়া এবং চীনের বিরোধিতার কারণে সেসব ক্রসিং গত জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশ দু’টি চায় তুরস্কে সীমান্তের তিনটি ক্রসিং কমিয়ে একটিতে নিয়ে আসতে।


আরো সংবাদ



premium cement