২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৪ চীনা কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

উইঘুর মুসলিম নিপীড়ন
-

চীন তাদের জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে দেশটির ৪ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষকে আটক, ধর্মীয় নিপীড়ন ও নারীদেরকে জোর করে বন্ধ্যা করার অভিযোগ করে আসছে।
চীন শুরু থেকেই দূর-পশ্চিমের জিনজিয়াংয়ে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। সমালোচকদের অনুমান, জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ তাদের পুনঃশিক্ষা কর্মসূচির নামে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাখ লাখ সংখ্যালঘু মুসলমানকে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক করে তাদের ওপর ধর্মীয় নিপীড়ন চালিয়ে আসছে ও নানান ধরনের হয়রানি করছে।
অন্য দিকে বেইজিং বলছে, এসব ক্যাম্পে আগতদের যে ‘বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ’ দেয়া হচ্ছে, তা জিনজিয়াংয়ে উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলার জন্য জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় যে ৪ চীনা কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের মধ্যে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পলিটব্যুরোর সদস্য চেন কাংগুয়ো আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সিপিসি জিনজিয়াংয়ের এ শীর্ষ নেতাকে বেইজিংয়ের সংখ্যালঘু নীতির ‘আর্কিটেক্ট’ বিবেচনা করা হয়। চেন এর আগে তিব্বতেরও দায়িত্বে ছিলেন।
জিনজিয়াং জননিরাপত্তা ব্যুরোর পরিচালক ওয়াং মিংশান, সিপিসি জিনজিয়াংয়ের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য জু হাইলুন এবং সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হুয়ো লিউজুনের উপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ৪ চীনা কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পদ থাকলে এখন তাও জব্দ করা যাবে। বিবিসি জানিয়েছে, হুয়ো বাদে বাকি তিন চীনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ৪ কর্মকর্তার পাশাপাশি ওয়াশিংটন জিনজিয়াংয়ের নিরাপত্তা ব্যুরোর উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, জিনজিয়াংয়ে যে ভয়াবহ ও নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন চলছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যেভাবে উইঘুর, কাজাখ নৃগোষ্ঠী ও জিনজিয়াংয়ের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তা চুপচাপ দেখে যেতে পারেনা যুক্তরাষ্ট্র, বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন পম্পেও। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস, বাণিজ্য চুক্তি ও হংকং নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ওয়াশিংটন চীনা কর্মকর্তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বেইজিংয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement