১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেপ্টেম্বরে না খুললে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ফান্ড বন্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

-

আসছে সেপ্টেম্বর নতুন শিক্ষাবর্ষে সব স্কুল-কলেজ না খুললে ফেডারেল মঞ্জুরি বন্ধের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের পরিবেশ তৈরির জন্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরকেও (সিডিসি) স্বাস্থ্যবিধি ঢেলে সাজানোর চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প নিজে এবং তার ঘনিষ্ঠজনেরা।
যদিও গত ৯ দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অকল্পনীয় হারে বেড়েছে। সর্বশেষ ৮ জুলাই বুধবার সারা আমেরিকায় সংক্রমিত হয়েছে ৫৯ হাজার জন। এর মধ্যেও বেশ ক’টি স্টেটের তথ্য সংযোজিত করা সম্ভব হয়নি রাত ১১টা পর্যন্ত।
৭ জুলাই মঙ্গলবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত দুই সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার হচ্ছে ৭২ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে আরিজোনায়। সেখানেও টেক্সাস স্টেটের মতোই হাসপাতালে সিট সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যেমনটি মার্চ এপ্রিলে ছিল নিউ ইয়র্ক অঞ্চলে। এমনি কঠিন একটি বাস্তবতাকে আমলে না নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবকিছু খুলে দেয়ার জন্যে চাপ দিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউজের নেতৃত্বে গঠিত করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের মতামত উপেক্ষা করে মে মাসেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ ক’টি স্টেটের লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তার সমর্থনপুষ্টরা বাস্তবতা উপেক্ষা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলেন, যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে টেক্সাস, ফ্লোরিডা, আরিজোনাসহ ৩৭টি স্টেটকে। এখন স্কুল-কলেজ পুরোপুরি খোলার জন্যে চাপ অব্যাহত রেখেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ স্কুল ডিস্ট্রিক্ট হচ্ছে নিউ ইয়র্ক। এখানকার গভর্নর ও মেয়র মোটামুটি নীতিগত একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস চালুর জন্য সপ্তাহে তিন দিন করে গ্রুপভিত্তিক ক্লাস নেয়া হবে।
অর্থাৎ বর্তমানের ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রথম তিন দিন যারা ক্লাস করবে, পরবর্তী তিন দিন তারা ছুটিতে থাকবে। অপর স্কুল ডিস্ট্রিক্ট লস এঞ্জেলসের কর্মকর্তারা ভাবছেন, সব ক্লাস অনলাইনে নিতে। কারণ ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে গেলে কখনোই তারা স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করবে না। অপরাপর স্কুল ডিস্ট্রিক্টও মতবিনিময় চালাচ্ছে ক্লাস শুরু করা নিয়ে। তবে সবাই করোনার গতি-প্রকৃতির আলোকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও ট্রাম্প একধরনের চাপ সৃষ্টি করেছেন আগাম সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে নিজের ক্ষেত্র তৈরি করার অভিপ্রায়ে ট্র্রাম্প জনজীবনকে অস্থিরতায় নিপতিত করতে চাচ্ছেন। করোনার প্রকোপ যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে পুরো দেশ আবারো ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। সে অবস্থায় স্কুল-কলেজে ক্লাস চালু করা কোনোভাবেই সম্ভবপর হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল