পাইলটের ভুলেই বিমান দুর্ঘটনা
- জি নিউজ
- ০৬ জুন ২০২০, ০৩:১৫, আপডেট: ০৬ জুন ২০২০, ০২:৫২
ঈদের কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধবস্ত হয়ে ৯৭ জন যাত্রী নিহত হয়। পাইলট, ক্রুসহ যাত্রীদের প্রায় সবার প্রাণহানি হলেও বেঁচে যায় দুইজন যাত্রী। প্রায় ১২ দিন পর পাকিস্তান বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাইলট ট্রাফিক নির্দেশ অমান্য করেছিলেন বলেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার (পিআইএ) এ মডেলের এয়ারবাসটি ৯১ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু নিয়ে লাহোর থেকে করাচি যাচ্ছিল। জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই অবতরণের কথা ছিল এটির। বিমানটি দুই দফায় রানওয়েতে নামার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়।
জিন্নাহ গার্ডেনের কাছে ভেঙে পড়ার আগে বিমানটির কন্ট্রোলারের কথা অনুযায়ী বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করছিল। কিন্তু অবতরণের জন্য যে গতি প্রয়োজন তার থেকে বেশি গতি ছিল বিমানটির। তার ফলে অগ্নিসংযোগ এবং শেষে জনবহুল এলাকাতেই ভেঙে পড়ে বিমানটি।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার (পিআইএ) কাছে পাঠানো চিঠিতে এমন কথাই লিখেছিলেন পাক বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে পিআইএর পক্ষ থেকে আবদুল্লাহ হাফিজ খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পাক বিমান কর্তৃপক্ষ পাইলটের নির্দেশ না মানার রিপোর্ট পেশ করেছে। দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী গুলাম সরকার জানিয়েছেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার কারণ পার্লামেন্টে ফেশ হবে ২২ জুন। অনেক কারণেই বিমান দুর্ঘটনা হতে পারে। বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখতে হবে। এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়।’ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ এর আগে জানায়, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ওই বিমানটি করাচি বিমানবন্দরের কাছে যাওয়ার সময় উভয় ইঞ্জিন অকেজো হওয়ার পর আবাসিক এলাকার একটি রাস্তায় বিধ্বস্ত হয়। এর পাখা ছিটকে পড়ে, আগুন ও ধোঁয়ায় ভরে যায়। রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা