২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিবিয়া ইস্যুতে উদাসীন থাকতে পারে না প্রতিবেশীরা : ঘানুশি

-

‘দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ লিবিয়ার প্রতিবেশীদেরকে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে এবং দেশটির অশান্তিতে থাকা অবস্থায় তারা ‘উদাসীন হতে পারে না’, তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার রশিদ ঘানুশি গত মঙ্গলবার এসব কথা বলেন।
আনাদোলু এজেন্সির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ঘানুশি বলেন, ‘লিবিয়ায় যেসব ঘটনা ঘটছে, এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো কিছুতেই উদাসীন থাকতে পারে না। যদি আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগে তবে আপনি নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন না। দায়িত্ব ও প্রয়োজনীয়তাই আপনাকে প্রতিবেশীর আগুন নেভাতে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করবে, এই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা অর্থহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে ঠেলে দেয়ার ভিত্তিতে ইতিবাচক নিরপেক্ষতার আহ্বান জানাই। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলোÑ লিবিয়ায় রাজনৈতিক সমাধান হলো দেশটির নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে ওঠার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’
তিউনিসিয়ার বিরোধী কয়েকটি দল ফয়েজ আল-সররাজের নেতত্বাধীন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ান গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডের (জিএনএ) সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করেছে। তাদের সম্পর্কে ঘানুশি জোর দিয়ে বলেন, তাদে যোগাযোগ তিউনিসিয়ার কূটনীতির সীমার বাইরে যায়নি’।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিউনিসিয়ার সরকার ও প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ লিবিয়ার আল-সররাজের সরকারের সাথে যোগাযোগ করছেন। কারণ আল-সররাজের সরকার আন্তর্জাতিক বৈধতা অনুসারে লিবিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধি। এর আগে আমরা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের তোব্রুক পার্লামেন্টের প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট আগুইলা সালেহের সাথে দেখা করেছি, যা সম্ভবত ইতিবাচক নিরপেক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
‘আমরা লিবিয়ার সাথে ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা, শান্তি ও ভালো প্রতিবেশীসুলভ সহৃদয়তার মূল্যবোধকে ভাগ করে দিচ্ছি।
তাই আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে কাজ করি এবং যোগাযোগ করি। যারা লিবিয়ার সাথে আমাদের যোগাযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তারা বৈধতার বিকল্প প্রস্তাব দিচ্ছে যেমন অজ্ঞাত সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করা, যা তিউনিসিয়ান রাষ্ট্র ও এর জনগণের স্বার্থের সুরক্ষা করে না।’
‘এমন কোনো স্বাধীন দেশ নেই যে দেশ তার চারপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয় না। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ায় যা ঘটছে, তা প্রত্যক্ষ ও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে তিউনিসিয়াকে। লিবিয়ার সাথে আমাদের দীর্ঘ সীমান্ত, বাণিজ্য বিনিময় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা ও অর্থনীতি প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ার ঘটনাগুলো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। সুতরাং লিবিয়ার নিরাপত্তাও তার প্রতিবেশী তিউনিসিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।’ তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের প্রধান আশা প্রকাশ করেন, লিবিয়ার মানুষ ফের সংলাপ শুরু করবে এবং সহাবস্থান গ্রহণ করবে এবং দোষারোপ ও শত্রুতা বাদ দেবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ ‘১ টাকার কাজ ১০০ টাকায়, ৯৯ যায় মুজিব কোটে’ রাত পোহাতেই রুদ্ধদ্বার অনুশীলন শুরু বাংলাদেশের সাটুরিয়ায় প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইসতিসকা আদায়

সকল