২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পঙ্গপালে বিমান চলাচল নিয়ে শঙ্কায় ভারত

-

ভারতের উত্তর ও পশ্চিম অংশের কিছু রাজ্যে উৎপাত শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। মাঝে মধ্যেই মেঘের মতো আস্তরণ তৈরি করে লোকালয় কিংবা জমিতে চলে আসছে তারা। ফলে ফসল নষ্ট থেকে শুরু করে মানুষের বাইরে বের হতেও সমস্যা হচ্ছে। এই পঙ্গপালের ঝাঁকের ফলে বিমান ওঠানামা করতে সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
শুক্রবার ডিজিসিএ’র পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে এ কথা বলা হয়েছে। পঙ্গপালের ফলে বিমানের কী কী অসুবিধা হতে পারে তাও বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়। সাধারণত এই পঙ্গপালের ঝাঁক বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরেই দেখা যায়। খুব বেশি উঁচুতে তারা ওড়ে না। তার ফলে বিমানের টেক-অফ বা ল্যান্ডিংয়ের সময় সমস্যা হতে পারে, এমনটাই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। যদি পঙ্গপালের ঝাঁক বিমানের কোনো যন্ত্রাংশের ভেতর ঢুকে যায় তাহলে সেই যন্ত্রাংশ যেমনÑ ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও এই পঙ্গপাল বিমানের সেন্সর ব্যবস্থাও খারাপ করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিমানের উচ্চতা বা গতি ভুল দেখাতে পারে। এতে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, একটা পঙ্গপাল ছোট হলেও পঙ্গপালের ঝাঁক খুব ক্ষতিকর। অনেক সময় এরা বিমানের ককপিটের উইন্ড স্ক্রিনে আটকে যায়। ফলে পাইলটের দেখতে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাইলটরা সাধারণত ওয়াইপার ব্যবহার করে স্ক্রিন পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে স্ক্রিন আরো ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। তাই এ ধরনের ঘটনায় ওয়াইপার ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পাইলটদের। এ ছাড়া পঙ্গপালের ঝাঁকের ফলে রানওয়ে দেখার ক্ষেত্রে পাইলটদের সমস্যা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এই সমস্যা দূর করার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে ডিজিসিএ। বলা হয়েছে, বিমান টেক-অফ বা ল্যান্ডিংয়ের সময় আশপাশে কোথাও পঙ্গপালের ঝাঁক আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরের কর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে। থাকলে তা সাথে সাথে পাইলটকে জানাতে হবে। দরকার পড়লে কিছুক্ষণ পরে টেক-অফ বা ল্যান্ডিং করতে হবে। এ ছাড়া রাতের বেলায় পঙ্গপাল ওড়ে না। তাই রাতে বেশির ভাগ বিমান আপাতত চালানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement