২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ট্রাম্পের আলটিমেটাম

-

আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় বড় পরিবর্তন আনার আলটিমেটাম দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এটি করতে তারা ব্যর্থ হলে স্থায়ীভাবে সংস্থাটিতে মার্কিন তহবিল বাতিল করা হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদও পুনরায় বিবেচনা করা হবে। সোমবার সংস্থাটির প্রধানকে লেখা এক দীর্ঘ চিঠিতে নিজের এমন মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা যথেষ্ট নয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টকে তারা অব্যাহতভাবে অবজ্ঞা করেছে। উল্টো দফায় দফায় বেইজিংয়ের প্রশংসা করেছে তারা।
চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, এটা স্পষ্ট যে, আপনার এবং আপনার সংস্থার দফায় দফায় ভুলের কারণে পুরো বিশ্বকে মহামারীতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে এসে সামনে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে, সংস্থাটিকে চীনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা। ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যেই সংস্থাটির সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আমাদের অপচয় করার মতো সময় নেই। এমন সময়ে ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দিলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে চিঠি পাঠানোর আগে সোমবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালেও প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি আবার সংস্থাটিকে ‘চীনের পুতুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন তহবিল স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। করোনা মহামারীতে চীনের পক্ষে অবস্থান নেয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বছরে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। চীন দেয় বছরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ তাদের কার্যক্রম ‘চীনকেন্দ্রিক’। তারা চীনের পুতুল।
করোনাভাইরাস ইস্যুতে এর আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। গত ৮ মে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংস্থাটি চীনের পুতুলে পরিণত হয়েছে। চীন যা করছে তা তাদের কাছে সবসময় ঠিক মনে হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি না এটি সচেতনভাবে করা হয়েছে। হয়তো অযোগ্যতার কারণে হয়েছে। ভাইরাসটি হয়তো ছড়িয়ে পড়েছে। তারা জানত না কিভাবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫০ মিলিয়নের জায়গায় চীন দেয় বছরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার। এরপরও বেইজিং তাদের বলে দেয় কী করতে হবে। এটা হতে পারে না। মহামারীর জন্য ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের ব্যর্থতার অভিযোগে দেশটিকে শায়েস্তা করার উপায় খুঁজছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে মার্কিন বিজ্ঞানীদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।


আরো সংবাদ



premium cement
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

সকল