১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির নিয়ে ভারতের নতুন আইন প্রত্যাখ্যান ওআইসির

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের; এটি অবৈধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন
-

ভারত সরকারের নতুন স্থায়ী বাসিন্দা আইন ‘জম্মু ও কাশ্মির পুনর্গঠন আদেশ, ২০২০’-এর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। আইনটিকে ‘অবৈধ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে মুসলিম দেশগুলোর এ সংস্থাটি।
ওআইসির স্বতন্ত্র স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন (আইপিএইচআরসি) একটি টুইটে বলেছে, তারা ভারত সরকারের এই নতুন আইন প্রণয়নের নিন্দা জানাচ্ছে। আইটির মাধ্যমে অধিকৃত কাশ্মিরের ‘জনমিতিক ও ভৌগোলিক’ অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে।
এটিকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ও ওআইসির প্রস্তাবের লঙ্ঘন উল্লেখ করে ভারতকে এই অঞ্চলে আরোপিত ‘কঠোর আইন’ বাতিল ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গভীর রাতে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাতে কাশ্মিদের বাসিন্দাদের নতুন পরিচয় দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যারা জম্মু-কাশ্মিরে ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন বা সাত বছর সেখানে পড়াশোনা করে সেখান থেকেই দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাই কেবল স্থায়ী বাসিন্দার (ডোমিসাইল) সনদ পেতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি গবেষণাগারের যেসব কর্মী জম্মু-কাশ্মিরে কাজ করেছেন, তাদের সন্তানরাও এ সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শুধু এই স্থায়ী বাসিন্দারাই জম্মু-কাশ্মির সরকারের নন-গেজেটেড স্তরের লেভেল ফোর পর্যন্ত সব পদে আবেদন করতে পারবেন। লেভেল ফোরের পদের মধ্যে আছে কনস্টেবল, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট।
জম্মু-কাশ্মির সরকারের বাকি পদগুলোর জন্য সব ভারতীয় নাগরিকই আবেদন করতে পারবেন বলে নতুন এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এতে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হিমালয় অঞ্চলটির জনমিতির অবস্থান বদলে যাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
অর্থাৎ রাজ্যটি আর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই নতুন আইনটিকে ‘সব আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement