সরকারের সাথে বন্দিবিনিময় বৈঠক বাতিলের ঘোষণা তালেবানের
অনিশ্চয়তায় পড়ল শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন- রয়টার্স ও আলজাজিরা
- ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
বন্দিবিনিময় নিয়ে আফগানিস্তানের মার্কিন সমর্থিত সরকারের সাথে আলোচনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। গতকাল মঙ্গলবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন দলের অন্যতম মুখপাত্র সুহাইল শাহিন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালেবানের শান্তি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল এ বন্দিবিনিময় ইস্যু। এখন এটিকে কেন্দ্র করে সরকারের সাথে দলটির আলোচনা ভেঙে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক দফতরের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, তার দল কোনো ‘অর্থহীন বৈঠকে’ অংশ নেবে না। তারা একের পর নানা অজুহাত তুলে বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি বিলম্বিত করছে। তবে আফগান সরকারের দাবি, তালেবান নানা সহিংসতায় জড়িত তাদের ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের মুক্তি চাইছে। এ কমান্ডারদের মুক্তি দিতে নারাজ কাবুল।
এর আগে গত মাসে শর্তসাপেক্ষে বন্দী মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয় তালেবান। দলের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন জানান, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে পাঁচ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। তার পরই সংলাপ শুরু হবে।’ কিন্তু সরকার বন্দী মুক্তির সাথে শর্ত জুড়ে দিতে চায়।
তালেবানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের চুক্তি অনুযায়ী কোনো শর্তসাপেক্ষে মুক্তির কথা ছিল না। সুহাইল শাহিন বলেন, ‘আমরা কখনো বন্দীর শর্তসাপেক্ষে মুক্তির ব্যাপারে রাজি হয়নি। যদি কেউ এমনটা দাবি করে তবে তা সেই চুক্তির বিরুদ্ধে কথা বলা হবে।’
এর আগে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় করা যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তিচুক্তি ভাঙনের মুখে বলে জানিয়েছিল তালেবান। এর কারণ হিসেবে সম্প্রতি শান্তিচুক্তির আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা, এমন অভিযোগ করেছে তারা। চুক্তির শর্ত অমান্য করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তবে চুক্তি ভঙ্গের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মার্কিন প্রশাসন।
এ দিকে কাবুলে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-তালেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, তালেবান যদি সমঝোতা অনুযায়ী কাজ করে তবে আফগানিস্তানে তারা নিরাপদ থাকবে এবং ১৪ মাসের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করবে ওয়াশিংটন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা