২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় গভীর সঙ্কটের মুখে বৈশ্বিক কর্মসংস্থান

-

বিশ্ব অর্থনীতিতে নভেল করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। কর্মসংস্থানের সঙ্কট অবশ্য এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ব্যয় সঙ্কোচনের জন্য ধুকতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। এর কারণে চাকরি হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সতর্ক করে বলেছে, করোনার প্রকোপ এখনই ঠেকানো না গেলে বিশ্বজুড়ে কাজ হারাবে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ।
করোনার কারণে কর্মসংস্থান কতটা হুমকিতে রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালেই তা পরিষ্কার হবে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে বেকারত্ব ভাতার আবেদন জমা পড়েছে প্রায় এক কোটি। এর মধ্যে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহেই আবেদন করেছেন ৬৬ লাখ মার্কিনি। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, লকডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই কর্মসংস্থান কমবে প্রায় দুই কোটি। আরেকটি তুলনামূলক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ছিল তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ, যা ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেখান থেকে মার্চে সাত লাখের বেশি মার্কিনি চাকরি হারানোর কারণে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক চার শতাংশ। অর্থাৎ করোনার ধাক্কায় মাত্র এক মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস বলছে, দেশটিতে কয়েক মাসের মধ্যেই বেকারত্বের হার ১৬ শতাংশে উন্নীত হবে, যা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের পর সর্বোচ্চ। গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাসও প্রায় একই কথা বলছে। তাদের আশঙ্কা, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।


আরো সংবাদ



premium cement