২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতিসঙ্ঘে করোনা মোকাবেলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রস্তাব পাস

গুতেরেসের আহ্বানের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র বিভক্ত; বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং অভিবাসনভীতির বিষয়ে গুরুত্বারোপ
-

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ গত বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা’ এবং ‘বহুপাক্ষিকতার’ আহ্বান সংবলিত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া শুরু হওয়ার পর প্রথম এ ধরনের একটি প্রস্তাব এলো বিশ্ব সংস্থাটির কাছ থেকে।
সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত এই প্রস্তাবটিতে মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মানের প্রয়োজনীয়তা এবং এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় কোনো ধরনের বৈষম্য, বর্ণবাদ এবং অভিবাসনভীতির স্থান নেই বলেও জোর দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবের বিষয়ে রাশিয়া তার নিজস্ব লিখিত বক্তব্যে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে সমর্থ হয়নি, যদিও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কিউবা, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলা এই চারটি দেশ রাশিয়ার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানায়। জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় ভূমিকার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, নরওয়ে, লিচটেনস্টাইন এবং ঘানা জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করে এবং ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৮৮টি রাষ্ট্র ওই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। রাশিয়া তার লিখিত বক্তব্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে, তবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো সাধারণভাবে তুলে নেয়ার জন্য অন্তর্নিহিত দাবি অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেগুলোকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টায় বাধা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবগুলো মানা যদিও বাধ্যতামূলক নয়, তবে সদস্যদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে এর একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শুধু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে মহামারী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস এবং এর ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব। যদিও বৃহস্পতিবার এক জরুরি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জি-২০ নেতারা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু নজিরবিহীন সমস্যা মোকাবেলায় সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা এখনো অনেক দূরে আছি। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।
গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব। মাত্র গত সপ্তাহেই, যখন এই মহামারী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটায় এবং আরো অনেককে সংক্রামিত করে, তখন গুতেরেস হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব একত্র না হলে লাখ লাখ লোক মারা যেতে পারে। ২৩ মার্চ বিশ্বের সঙ্ঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে দুর্বল সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় বৈশ্বিক যুদ্ধবিরতির ডাক দেন তিনি। বেশ কিছু যুদ্ধকবলিত অঞ্চল তার আহ্বানে সাড়াও দেয়।
এই মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ নীরব রয়েছে। এর পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স) গুতেরেসের আবেদনের সমর্থনে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার বিষয়ে বিভক্ত রয়েছে।
১০ অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী পাঁচ দেশ এখনো একটি বাস্তব সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। এ দিকে ভাইরাসটির উৎসস্থল নিয়ে সঙ্ঘাত চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ওয়াশিংটন এই ভাইরাসের জন্য চীনকেই দায়ী করতে তৎপর। অন্য দিকে বেইজিং ও মস্কো নিরাপত্তা পরিষদে এমন একটি সমস্যা উপস্থাপন করতে অনিচ্ছুক যা এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই দুই দেশেরই নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

সকল