২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণার শিকার এশীয় বংশোদ্ভূতরা

-

মার্চ মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি ক্লাবে এশীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন পরিবারের ওপর হামলা হয়। তাদের ওপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৯ বছর বয়সী হামলাকারী জোসে গোমেজ। পরিবারের সাথে থাকা দুই বছরের শিশুকেও সে ছাড়েনি। একে বর্ণবাদী হামলা হিসেবেই ধরছে কর্তৃপক্ষ এবং এ নিয়ে তারা উদ্বেগও জানিয়েছে। হামলাকারী নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, সে ওই পরিবারটিকে হত্যা করতেই হামলা চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এফবিআই বিষয়টি তদন্ত করেছে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলাকারীর ধারণা হয়েছিল ওই পরিবারটি চীনা এবং তারা মানুষকে করোনাভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত করতে চায়।
এ ঘটনার পর দেশটিতে আবারো ‘হেইট ক্রাইম’ আলোচনায় এসেছে। কিভাবে করোনাভাইরাসের মাধ্যমে এশীয় বংশোদ্ভূতরা বর্ণবাদী হামলার শিকার হচ্ছেন তার উদাহরণ হিসেবেও এটিকে দেখানো হচ্ছে। হামলার পর পাশে থাকা অন্য ক্রেতারা ওই পরিবারটিকে উদ্ধার করে। কর্তৃপক্ষ এসে গোমেজকে জেরা করলে সে জানায় যে, হত্যার উদ্দেশেই সে হামলা চালায়। এরপর এটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের থেকে এফবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এফবিআই পরে জানায়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের হেইট ক্রাইম বেড়েই চলেছে। এ ধরনের আরো ঘটনা তাদের রেকর্ডে রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক শহরের চিকিৎসকদের সংগঠন জানিয়েছে, বর্ণবাদ এখন তাদের স্বাস্থ্য খাতেও পৌঁছে গেছে। এশীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করতে গেলে অনেকেই বাজে মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন। এশীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসকরা আহ্বান জানিয়ে বলছেন, এটি ভয়াবহ ও ভীতিকর। আমরা এখানে এসেছি একে অপরকে সাহায্য করার জন্য। আমাদের জন্য এ কাজ কঠিন করে দেবেন না।

 


আরো সংবাদ



premium cement