২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উহানে লকডাউন প্রত্যাহার ফিরছে স্বাভাবিক অবস্থা

লকডাউন তুলে নেয়ার পর মাস্ক পরে ট্রেন ধরতে উহানের রেলস্টেশনে লোকজনের ভিড় : এএফপি -

দুই মাসেরও বেশি সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পর চীনের উহান শহর থেকে লকডাউন তুলে নেয়া শুরু হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নেয়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের উৎসস্থল উহানে গতকাল শনিবার কিছু মেট্রো সার্ভিস ফের চালু ও সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের ফের একত্র হওয়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে শহরটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বলে আভাস মিলেছে। গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি দেশের অপরাপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিনে এই শহরটিতেই প্রথম নতুন একটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা পরে নভেল করোনাভাইরাস নাম পায়। ভাইরাসটি শহরটি একটি সি-ফুড মার্কেট থেকে ছড়িয়েছে বলে ধারণা। এর পর থেকে চীনের অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে এখন বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, যা থেকে সৃষ্ট রোগকে কোভিড-১৯ বলা হচ্ছে। যার লক্ষণ কাঁশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ৫০ হাজারেরও বেশি লোক করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুরো হুবেই প্রদেশে অন্তত তিন হাজার রোগীর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি এখানে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। শুক্রবার প্রদেশটিতে নতুন করে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনিবার প্রদেশটি জানিয়েছে; আক্রান্তদের সবাই বিদেশফেরত। এর অর্থ এ দিন স্থানীয়ভাবে কেউ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হননি।
লকাডাউন আংশিক তুলে নেয়ার পর উহান রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। লোকজন শহরটিতে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু বের হতে পারবে না। শনিবার সকালে প্রথম যে হাইস্পিড ট্রেনটি শহরে প্রবেশ করে সেটির এক যাত্রী ছিলেন ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গুয়ো লিয়াংকাই। এক মাসের জন্য সাংহাইয়ে গিয়ে সেখানে তিন মাস আটকা পড়েছিলেন তিনি।
স্টেশনে নেমে নিজের মায়ের সাথে দেখা হওয়ার পর গুয়ো বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে আবার দেখতে পাব, এতে আমি খুব খুশি। মাকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিশেষ সময় হওয়ার কারণে এ রকম কিছুই করলাম না।’
চীনের মধ্যাঞ্চলীয় এই শিল্পপ্রধান শহরটি থেকে লোকজনের বের হওয়া ও প্রবেশের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল কর্তৃপক্ষ। এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহরটির লোকজনকে তাদের বাড়িতেই সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। বাস ও ট্যাক্সিসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়, শুধু জরুরি পণ্যের দোকানগুলো খোলা রাখা হয়।
উহানে কাজে ফেরা ৩৫ বছর বয়সী ঝ্যাং উলুন বলেন, ‘আমি মনে করি কাজ ফের শুরু করার মধ্য দিয়ে এক ধরনের আশার সঞ্চার হচ্ছে। চীন যে জয়ী হয়েছে এতে এটি অন্তত দেখানো গেছে।’ তবে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস ও বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও এখনো সতর্কতা বজায় রেখেছে উহানের কর্তৃপক্ষ।
সুরক্ষা পোশাকে পুরো শরীর ঢাকা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা স্টেশনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে লোকজনের হাত জীবাণুমুক্ত করে দিচ্ছে। শহরে আসা অথবা ফেরা লোকজনকে কী কী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে হাতে ধরা বিভিন্ন ব্যানারের মাধ্যমে তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এগুলো মধ্যে মাস্ক পরার কথা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইলে দেয়া স্বাস্থ্য কোড স্ক্যান করার কথা উল্লেখ আছে। ঝুঁকির কথা জিজ্ঞেস করা হলে মেট্রোর লাইনে দাঁড়ানো যাত্রী ৩০ বছর বয়সী উয়ান হাই বলেন, ‘সবাই সঠিক পূর্বসতর্কতা অনুসরণ করছে তাই সমস্যা হওয়ার কথা না, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল