প্রতিরোধ শক্তির ইতিহাস রচনা ভারতীয় মুসলিম নারীদের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০
‘মুসলিম নারীরা ‘প্রতিরোধ শক্তি’ হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছে। প্রায় আশিটি দেশ বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধ লড়াইয়ের জন্য অনুপ্রেরণা ও আস্থার স্থলে পরিণত হওয়া নারী-প্রতিবাদকারীদের সাহস এবং প্রত্যাবর্তন স্বীকার করে নিয়েছে।’ দিল্লির প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ (জেআইএইচ) মহিলা শাখার আয়োজনে ‘সিএএ-এনপিআর-এনআরসির বিরুদ্ধে নারীদের সংগ্রাম’ শীর্ষক এক সেমিনারে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক পুষ্পাঞ্জলি ঝা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক পুষ্পাঞ্জলি। তিনি বলেন, ‘সিএএ-এনপিআর-এনআরসির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভ একটি পরিচয়ের লড়াই।’ সোশ্যাল এক্সক্লুশনস এবং পার্টিসিপেটরি কমিউনিটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনকারী অধ্যাপক পুষ্পাঞ্জলি এর আগে বলেছিলেন, ‘বহুত্ববাদী জাতির ওপর বৃহত্তর ইচ্ছাশক্তি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং নারী প্রতিবাদকারীরা এই অসাংবিধানিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন।’ তিনি বলেন, ‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে এগিয়ে আসা উচিত। কারণ এই নারীরা দেশের সমস্ত নাগরিক, বিশেষত দুর্বল ও নিম্নবিত্তদের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।’ তিনি মুসলিম নারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা স্বার্থকেন্দ্রিক নন; আপনারা সকল নাগরিকের পক্ষে লড়াই করছেন।’ পুষ্পাঞ্জলি জোর দিয়ে বলেন, ‘এভাবেই নারীরারা ইউনিভার্সাল সিস্টরহুড বা ‘সার্বজনীন ভগ্নিত্বের’ পথ দেখিয়েছেন।’ এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকর্মী রোজা পার্কের উদাহরণ তুলে ধরেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। রোজা পার্ক, যিনি মন্টেগোমেরি বাস বর্জনে তার অনবদ্য ভূমিকার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর মাধ্যমে তিনি বাসগুলোতে শ্বেতাঙ্গদের জন্য আসন সংরক্ষণের প্রথা বাতিল করে দিয়েছিলেন এবং যার জন্য মার্কিন কংগ্রেস তাকে ‘নাগরিক অধিকারের প্রথম নারী’ এবং ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের জননী’ বলে অভিহিত করেছে।
অধ্যাপক পুষ্পাঞ্জলি মহারাষ্ট্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিক্ষার উন্নয়নের জন্য পরলোকগত সাবিত্রি বাই ফুলি ও ফাতেমা শায়খের ভূমিকা উদ্ধৃত করে বলেন, ‘নারীরা তখন কিভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য সোচ্চার হয়েছিল।’ অসাংবিধানিক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নারী আন্দোলনের প্রশংসা করে অধ্যাপক পুষ্পাঞ্জলি বলেন, ‘সংবিধান কেবল আইনের আদালতে ব্যবহৃত হত তবে এখন এই নারীরা তা জনগণের আওতায় নিয়ে এসেছেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা