১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইয়েমেনে পাঁচ বছর পরও কমেনি যুদ্ধের তীব্রতা

-

সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোট ইয়েমেনে হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করার পাঁচ বছর পর, এখনো এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি দেশটির উত্তরে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাউছিরা রাজধানী সানার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত জাওফ প্রদেশের হাজম শহরসহ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং ইয়েমেনের উত্তরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সর্বশেষ শক্তিশালী দুর্গ ও সম্পদসমৃদ্ধ মারিব প্রদেশের বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আর্থিক সহায়তা এবং বিদ্রোহী আন্দোলনের অব্যাহত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট আবদু-রাব্বিহ মনসুর হাদি ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের অনুগত শক্তির বিরুদ্ধে হাউছিদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দলের সামরিক অগ্রগতি বজায় রেখেই হাউছি নেতা আব্দুল মালেক আল-হাউছি হামলা বন্ধে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন জোটকে আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বিমান হামলা শুরু করার আগে হাউছিরা সাময়িকভাবে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে থাকা প্রেসিডেন্ট হাদিকে দক্ষিণের শহর এডেনে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। তারা ইয়েমেনের জনবহুল উত্তর ও মধ্য উঁচু অঞ্চলগুলোর বেশির ভাগ অংশও দখল করে নিয়েছিল। তখন দেশটির বিমানবাহিনী হাউছিদের নিয়ন্ত্রণের অর্থ ছিল তারা এডেনে সরকারপন্থী বাহিনীর ওপর বোমা নিক্ষেপে সক্ষম ছিল এবং প্রায় পুরো শহরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। রিয়াদ হাউছিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করার আগের দিন হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান।
কয়েক মাসের মধ্যেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাদের মিত্ররা স্থল অভিযান চালিয়ে ইয়েমেনের দক্ষিণ থেকে হাউছিদের বিতাড়িত করে তাদের উত্তর মধ্যভূমির দিকে ঠেলে দেয়। ইয়েমেনের রাজনৈতিক গবেষক আবদুন নাসের আল-মুওয়াদিয়া বলেন, যুদ্ধের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ছিল হাউছিদের গোটা ইয়েমেন বা এর বেশির ভাগ অংশ বিশেষত তেল ও গ্যাসসমৃদ্ধ অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হয়েছিল। হাউছিরা এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না। তবে যদি তারা গোটা ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হতো এবং স্থানীয় কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি না হতো তাহলে সেই স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে বিদেশী হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘস্থায়ী সঙ্ঘাতের কারণে দরিদ্রপীড়িত দেশটিতে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে ইয়েমেনের সরকারের দুর্বলতা এবং স্থলভাগে এর প্রকৃত উপস্থিতি না থাকা হাউছিদের শক্তিশালী করেছে এবং উত্তরের নিয়ন্ত্রণকে আরো গভীরতর করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি

সকল