২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এনআরসি-সিএএ ও ধর্মীয় ইস্যুতে মোদির সাথে কথা বলবেন ট্রাম্প

নাগরিক তালিকা ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন : হোয়াইট হাউজ
-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আলোচনা করবেন। গত শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে এবং ভারত যাতে সেগুলোকেই ঊর্ধ্বে রাখে সেটির জন্য আমরা উৎসাহ দেবো।’
এনআরসি ও সিএএ আলোচনায় থাকবে কি নাÑ এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত আলোচনায় প্রেসিডেন্ট বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।’ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের উভয়ের ঐতিহ্য, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রকাশ্য বক্তব্য ও একান্ত আলাপে তুলে ধরবেন। তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবেন; কারণ তা এই প্রশাসনের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘আমাদের সার্বজনীন মূল্যবোধ, আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার বিষয়ে অভিন্ন প্রতিশ্রুতি লালন করি আমরা।’
‘বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে যে, তারা গণতান্ত্রিক ধারা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধা অব্যাহত রাখে কি না তা দেখতে। অবশ্যই ভারতের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করার কথা বলা আছে। ফলে এসব বিষয় প্রেসিডেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি নিশ্চিত আলোচনায় এগুলো উঠে আসবে’, বলেন ওই কর্মকর্তা।
১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারত পৌঁছবেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি আহমেদাবাদের মতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করবেন।
ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানীতে পৌঁছে ব্যস্ত সময় কাটাবেন। সূত্র মতে, ওই দিন বেশ কয়েকটি বৈঠক ও প্রতিনিধিপর্যায়ে আলোচনা ও বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রথমবারের মতো ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে যদি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ২০১৫ সালের আগে অমুসলিম নাগরিকরা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে। দেয়া হবে নাগরিকত্ব। সমালোচকরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়েছে এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement