২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাসে নতুন রোগীর সংখ্যা কমছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৬৯

-

আরও ১৪৩ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬৯ জনে, তবে নতুন রোগীর সংখ্যা কমেছে টানা তৃতীয় দিনের মতো। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির মূল ভূখণ্ডে শনিবার আরও ২ হাজার ৯ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪১ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫০০ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার চীনে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৬৯ জনে। অধিকাংশ মৃত্যু ঘটেছে হুবেই প্রদেশে। এই হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকেই গত বছরের শেষে নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক চীনা পর্যটক শনিবার মারা গেছেন ফ্রান্সে; ইউরোপে এ ভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যু। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এর আগে হংকং, ফিলিপিন্স ও জাপানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৬৬৯ জনে।
করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়া রোধে হুবেই প্রদেশে সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাজ্যজুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রাদেশিক সরকার। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে পুলিশের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ও জনসেবা প্রদানকারী যান। ওই প্রদেশের সব বাসিন্দার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীা করবে সরকার। প্রাদেশিক সরকারের অনুমতি ছাড়া সেখানে কোনো কোম্পানি তাদের কার্যক্রম এখন শুরু করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। রোগ প্রতিরোধ মতা ভালো হলে এ রোগ কিছু দিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের েেত্র ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনো মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেনÑ তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।


আরো সংবাদ



premium cement