২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনে রহস্যজনক ভাইরাসে আক্রান্ত আরো ১৩৯, তিনজনের মৃত্যু

-

চীনে রহস্যজনক ভাইরাসে নতুন করে আরো বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দু’দিনে নতুন করে আরো ১৩৯ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। রহস্যময় সার্স প্রকৃতির এই ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এত দিন পর্যন্ত যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সবাই উহান প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন; কিন্তু গত দু’দিনে উহান ছাড়াও চীনের অন্যান্য স্থানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৩৯ জন উহান, বেইজিং এবং শেনজেনের বাসিন্দা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ শ’। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড এবং জাপানে দু’জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন বলেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে আমি এখন এই বিষয়ে অনেক বেশি উগি¦গ্ন।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশি। এ থেকে প্রথমেই মনে হতে পারে যে, রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি একধরনের করোনা ভাইরাস।
কেন্দ্রীয় উহান শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে নতুন করে ১৩৬ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। রোববার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উহানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ভাইরাস সংক্রমণে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রেও চীন দ্বিমত পোষণ করে এক বিবৃতিতে জানায়, মানুষ থেকে মানুষ নয় বরং প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক টুইট বার্তায় জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রাণী থেকেই এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মানুষে মানুষে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থেকেও এ ভাইরাসে সক্রামক হচ্ছে। পূর্বসতর্কতাস্বরূপ উহান বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের শরীরে ভাইরাস শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও চীনে আগত পর্যটকদের ওপর এখনো পর্যন্ত কোনো বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে চীনে এক মারণঘাতী ভাইরাসে আট হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement