২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে রিভিউ আবেদন করবে মুসলিম ল বোর্ড

-

ভারতীয় মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড বাবরি মসজিদ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার বিষয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। রায় ঘোষণার পর গতকাল রোববার প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্যরা।
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লাখনৌয়ের নদওয়াতুল ওলামায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাবরি মসজিদ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার ব্যাপারে আদালতে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ভারতের শীর্ষ মুসলিম নেতৃবৃন্দ। এ বৈঠকে আগামী এক মাসের মধ্যেই রায় পুনর্বিবেচনার আরজি দাখিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা সাইয়েদে রাবে হাসানি নদভি। এ ছাড়া বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানি, সাইয়্যেদ ওয়ালি রাহমানি, জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের আমির মাওলানা আরশাদ মাদানি, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের আমির সাইয়েদ জালালুদ্দিন উমরি, মাওলানা খালেদ রশিদ ফিরিঙ্গি মহল্লি, অ্যাডভোকেট জাফর ইয়াব জিলানি, মুফতি আতিক আহমদ বাস্তবি ও মাওলানা উমরাইন রহমানি।
উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ের পুনর্মূল্যায়নের দাবি তুলতে শুরু করেন দেশটির মুসলমান সমাজের অনেকে। রায় ঘোষণার ঠিক পরই যদিও মুসলমানদের একটা অংশ বলেছিলেন যে সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিতেই হবে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সেই মনোভাব পাল্টিয়েছেন মুসলিম সমাজের ধর্মীয়-সামাজিক নেতা এবং আইনজ্ঞদের অনেকেই। ওই রায়ে যে তাদের ভাবাবেগকে আহত, ব্যথিত করেছে, সেটা স্পষ্ট করেই বলা শুরু হয়েছিল রায় বেরোনোর পর থেকেই। তবে রিভিউ বা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করা হবে কি না, তা ঠিক করতে গতকাল রোববার বৈঠকে বসে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। বোর্ডের সচিব ও অযোধ্যার জমি মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেন, প্রথম থেকেই তার মনে হচ্ছিল যে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা উচিত। তিনি বলেন, রায় বেরোনোর পরই কয়েকটি বিষয়ে ত্রুটি আছে বলে আমার মনে হয়েছিল। সে জন্যই আমি মনে করছি যে রিভিউ হওয়া উচিত।
একটা কারণ হলো, ১৯৪৯ সালে মসজিদের ভেতরে রামলালার মূর্তি বসানো বেআইনি ছিল বলে জানিয়েছেন কোর্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement