২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্থিরতায় রাজনৈতিক সঙ্কট বেড়েছে ইরাকে

-

এক সপ্তাহের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যেভাবে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী মারা গিয়েছে তাতে ইরাকে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বেশির ভাগ প্রতিবাদকারীর ভেতরে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ছিল। প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকেই অব্যাহত ‘বিরোধ’ থেকে বিরত থাকতে বিক্ষোভকারীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সালেহ বলেছিলেন যে এই সহিংসতার জন্য যারা দায়ী তারা ‘জনগণের শত্রু’। মন্ত্রিসভায় রদবদল, দুর্নীতি নিরসনে আরো তদারকি বৃদ্ধি ও বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়াই জাতীয় সমস্যার সমাধানে সবাই অংশগ্রহণে স্পষ্ট সংলাপ করার প্রস্তাব দেন তিনি। সালেহই প্রথম রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন এমন নয়। অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদী এবং পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ হাল-হালবুসি দুইজনেই জনসাধারণের অভিযোগের সমাধানের জন্য সংস্কারের একটি তালিকা প্রস্তাব করেছেন।
তবে তিন দিন আগে কোরামে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইরাকের পার্লামেন্টের বৈঠক থেকে প্রত্যাশানুযায়ী ফলাফল আসেনি। যারা পার্লামেন্টের অধিবেশন বয়কট করেছিল তারা বৃহত্তম জোটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মোক্তাদা সদরের নেতৃত্বে এমপিরা যোগদান থেকে বিরত ছিলেন। তিনি গত সপ্তাহে বিক্ষোভের পেছনে নিজের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
এই সপ্তাহে বাগদাদের সদর সিটি জেলায় সহিংসতার বিস্তারে বিক্ষোভের মাত্রা তীব্রতর হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। সদর সিটিতে রাতারাতি বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে একজন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ইরাকের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গতকাল সদর সিটিতে অজ্ঞাত হামলাকারীদের আগুনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত ও চারজন আহত হয়েছে, যেখানে আগের রাতে দাঙ্গায় ১৫ জন মারা গিয়েছিল।
২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর থেকে দেশে প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় দলগুলোর সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবে আবদুল-মাহদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দেশটির অস্থিরতা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ১১০ জনেরও বেশি ইরাকি মারা গেছেন এবং ছয় হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। সরকারকে অপসারণ এবং দুর্নীতির অবসানের আহ্বান জানিয়ে গত সপ্তাহে প্রধানত বাগদাদ এবং দক্ষিণে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা।
ইরাকে শিয়াদের সুরক্ষায় ৭ হাজার সেনা মোতায়েন ইরানের
এদিকে ইরাকে শিয়াদের সুরক্ষায় সাড়ে সাত হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। গতকাল বুধবার দেশটির এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানায় ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর।
ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ ইউনিটের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান কারামি বলেন, আশুরার ৪০ দিন পরে আয়োজিত অনুষ্ঠান আরবাইনেই নিরাপত্তা দিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার সেনা প্রস্তুত থাকবে। রাজপথে থাকবে সাড়ে সাত হাজার। আর চার হাজার সেনা শিয়াদের সুরক্ষায় যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

সকল