১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার লড়াই মঙ্গলে, যাচ্ছে তিন দেশের মহাকাশযান

এবার লড়াই মঙ্গলে, যাচ্ছে তিন দেশের মহাকাশযান - ছবি : সংগৃহীত

আগামী কয়েকদিন মঙ্গলগ্রহের ওপরে আকাশ নিয়ে তিন প্রতিদ্বন্দ্বি সংস্থার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলবে। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের যান `হোপ' সবার আগে সেখানে পৌঁছাবে। এরপরই যাবে চীনের `তিয়ানওয়েন-১' মহাকাশযান। সবশেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের আকাশে পৌঁছাবে যুক্তরাষ্ট্রের যান `পারসেভারেন্স'।

সবগুলো যানই ইতোমধ্যে লাখ লাখ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় সেখান থেকে মঙ্গলের কি নতুন তথ্য পাওয়া যায়।

১৯৬০ সাল থেকে মঙ্গলে যাওয়ার অভিযান শুরু করেছে মানবজাতি। অনেকসময়ই দুর্ঘটনা ও অন্যান্য কারণে প্রায়ই ব্যর্থ হতে হয়েছে। ব্রিটিশ ফিজিসিস্ট কলিন উইলসন বলেন, এটা খুবই হৃদয়বিদারক। আমি দুইবার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে দেখেছি। দুইবারই সেই যানটি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই পরিস্থিতি অন্যরকম আসলেই।

ওপেন ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোবায়োলোজিস্ট সুজান স্কোয়েনজার বলেন, মঙ্গলে যাত্রা বেশ কয়েকটি কারণে কঠিন। প্রথমত এটা অনেক দূরের পথ। সেখানকার পরিবেশও অন্যরকম। বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত ঘন, ফলে প্যারাসুটের মাধ্যমে নামা সম্ভব নয়।

আগে মার্কিন মহাকাশ প্রকৌশলীরা এয়ারব্যাগের ওপরে ভরসা করতো। নাসার নতুন রোভারগুলোর গঠন একটু জটিল। মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে অবতরণ তাই একটু কঠিন।

এর আগে ২০১২ সালে মার্কিন রোভার কিউরিওসিটি নামানোর ক্ষেত্রে ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই মুহূর্তকে নাসা ‘সেভেন মিনিটস অব টেরর বলে উল্লেখ করে।

আমিরাতে মহাকাশযান হোপ হবে মানবজাতির প্রথম যান যা মঙ্গলে অবতরণ করবে। এই সপ্তাহেই এটি পৌছে যাবে। এটা মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করবে। এরপর ধীরে ধীরে তার অভিকর্ষ বলয়ে প্রবেশ করবে। বাকিটি মহাকর্ষ শক্তির মাধ্যমেই অবতরণ হবে মঙ্গলের পৃষ্ঠে।

একদিন পরই পৌঁছাবে চীনের তিয়ানওয়েন-১। এটি অবতরণের আগে কয়েকমাস কক্ষপথে থেকে গবেষণা করবে। তারপার ২৫০ কেজি ওজনের রোবট অবতরণ করবো। সফল হলে চীন হবে আমিরাতের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ যারা মঙ্গলে নামছে।

স্কোয়েনজার বলেন, চীন এর আগে চাঁদে রোভার অবতরণ করেছে। তবে এবার সফল হলে সেটা হবে আরো বড় অর্জন।

সূত্র: গার্ডিয়ান


আরো সংবাদ



premium cement