Naya Diganta
খুলনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান বন সংরক্ষক

আগুনে সুন্দরবনে ৫ একর বনভূমি পুড়ে গেছে

খুলনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান বন সংরক্ষক

সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় পাঁচ একর বনভূমির গাছপালা ও লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) আমীর হোসাইন চৌধুরী। তবে সেখানে মৃত কোনো বন্যপ্রাণী দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
আগুনে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষককে প্রধান করে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান। কমিটি আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আগামীর করণীয় সম্পর্কে মতামত দেবেন। এ কমিটিতে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা হবে। এ ছাড়া ঘটনার দিনই বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। তিনি সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গত রোববার রাত সাড়ে ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিসিএফ জানান, রোববার বিকেলে মাটির ওপরে আর আগুন দেখা যায়নি। তবে বনভূমিতে পড়ে থাকা পাতার নিচে আগুন আছে কিনা- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সে কারণে বন বিভাগের ২০ কর্মী সারা রাত পাঁচ একর বনভূমিতে পানি দেয়ার কাজ করছে। এটা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আগুন যাতে আর না ছড়ায় সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে। কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে সেখানে পানি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনের খুলনাস্থ বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনসহ বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শনিবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়ন সংলগ্ন আমুরবুনিয়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি, নৌবাহিনীর একটি ও কোস্টগার্ডের একটি ইউনিট ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া স্থানীয় বনজীবী ও পরিবেশকর্মী এবং রোববার দুপুর থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে।
বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুন্দরবনে ২৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । যার বেশির ভাগই পূর্ব সুন্দরবনে। ২০২১ সালের ৩ মে একই রেঞ্জের ধানসাগর এলাকায় এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে ধানসাগর ও জিউধরা এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।