Naya Diganta
মিটফোর্ড হাসপাতালে অডিট

ওয়ার্ড ইনচার্জদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা

মিটফোর্ড হাসপাতালে অডিট

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে অডিট হচ্ছে। এ কারণে ওয়ার্ড ইনচার্জ প্রতি ১০ হাজার টাকা ঘুষ ও খাতা জমা নিচ্ছে সিনিয়র নার্স ও কথিত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ওয়ার্ড ইনচার্জ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে মিটফোর্ড হাসপাতালে একক আধিপত্য চালিয়ে আসছেন মাহমুদা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ওয়ার্ড নার্স ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা/ঘুষ উঠিয়ে অডিট কর্মকর্তাকে দেন। এভাবে ৪৬টি ওয়ার্ডের প্রতি নার্স থেকে ১০ হাজার করে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা অডিট কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়া বাবদ উঠানো হয়। অডিট কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের অফিস অডিটের পরে ওয়ার্ডগুলো ধরা হয়েছে। ওয়ার্ড ইনচার্জরা মেডিসিন ছাড়াও যাবতীয় তথ্য খাতায় লিপিবদ্ধ আছে কি না- এসবের জন্যই ওয়ার্ডে জরিপ চালানো হচ্ছে। তবে আমাদের নাম করে কেউ যদি কারো কাছ থেকে ঘুষ নেয়, তাহলে বিষয়টি তাদের ব্যাপার। জানা গেছে, প্রায় ২২ বছর ধরে মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মরত আছেন নার্স মাহমুদা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। হাসপাতালের দামি ওষুধ সরানো ছাড়াও ডরমিটরি বাণিজ্য।

একাধিক সিনিয়র নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাহমুদা এবং তারা একই পদে কর্মরত অথচ নিজে নিজে নার্স নেত্রী দাবি করেন। এমনকি কোনো ডিউটিও করেন না। মিটফোর্ড হাসপাতালে রয়েছে তার ব্যক্তিগত কক্ষ। যেখানে বসে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ কোনো পরিচালক তার টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি।
এ ছাড়া ডরমিটরি ভবনে সিঙ্গেল নার্স থাকার কথা অথচ দেড় লাখ করে নিয়ে ২৯ জন নার্স তাদের পরিবার নিয়ে থাকছেন। আবার যারা এখানে থাকেন তাদের অনেকেরই কেরানীগঞ্জে নিজস্ব বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। আর এসব অপকর্মে সহযোগিতা করছেন হিসাবরক্ষক জাহেদুর ও রহিম ভূঁইয়া। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও টাকা চুরির কেলেঙ্কারি।
অভিযুক্ত সিনিয়র নার্স মাহমুদা এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি এখন কিছুটা অসুস্থবোধ করছেন। এসবের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাজহারুল ইসলাম খানকে বারবার ফোন এবং দেখা করতে চাইলেও তা করেননি তিনি। আর সহকারী পরিচালক ডা: মোহাম্মদ আলী হাবিব নয়া দিগন্তকে বলেন, হাসপাতালের পরিচালক মহাদয় নিজেই এসব দেখেন। তাই আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।