Naya Diganta

পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত

নিহত শরীফ উদ্দিন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গানের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো তিনজন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ীয়া মেলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শরীফ উদ্দিন (২৩) উপজেলার কুষাকান্দা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের গণিত বিভাগের ছাত্র।

এ ঘটনায় একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আজাদ মিয়া (২৬) গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সুরুজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (৫০) এবং দগদগা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে শাকিল আহমেদ (২০) পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ীয়া গ্রামে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাটি যুগ যুগ ধরে এখানে হয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহ আগে মেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পরে সেখানে এলাকার কয়েকজন যুবক মিলে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গান চলাকালে হঠাৎই গান বন্ধ হয়ে যায়। এমসয় গানের আয়োজক কমিটির সাথে পার্শ্ববর্তী কুশাকান্দা গ্রামের কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে শরীফ উদ্দিন, আজাদ মিয়া ও লিটন মিয়া ও শাকিল আহমেদ গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শরীফ ও আজাদ মিয়াকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শরীফ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য আজাদ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুছলেহ উদ্দিন জানান, মেলা শেষ হয়ে গেছে প্রায় সাত দিন হয়েছে। এছাড়াও মেলা কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের কতিপয় যুবক গানের আয়োজন করে। শুনেছি এই গানকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আমার দাবি হচ্ছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের নিরীহ এবং সাধারন মানুষ যেনো হয়রানির শিকার না হয়। দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।