Naya Diganta

অটোরিকশাচালককে খুনের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পরকীয়ার দ্বন্দ্বে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক রাসেলকে খুনের ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল (২১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার। হত্যার শিকার রাসেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর এলাকার সোলেমান হক পাগলার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৩), নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের আলা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ (৩০)। রায় ঘোষণার সময় গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও অপরজন পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বাহার জানান, ২০১৭ সালের ১৮ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাসেলকে অপহরণ করে অজ্ঞাত আসামিরা। তারা এক লাখ টাকা দাবি করে। ৫০ হাজার টাকা দিলেও ছেলেকে না পেয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন জয়নাল আবেদীন। পরে চৌদ্দগ্রামের চিওড়া রাস্তার মাথায় একটি লাশ উদ্ধার হলে জয়নাল আবেদীন সেটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে শুভপুর এলাকার একরামুল হক পাগলা, গিয়াস উদ্দিন, শাহিন, নাঙ্গলকোটের অলি উল্লাহ ও আসমা আক্তার সাথীকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে একরামুল হক পাগলার মৃত্যু হলে তাকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া বয়স কম হওয়ায় সাথীর মামলা শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। শাহিনকে অব্যাহতি দেন আদালত। বাকি দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে আসামিরা স্বীকার করেন, আসমা আক্তার সাথী রাসেলের সম্পর্কে ভাবী হন। তার সাথে রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এদিকে গিয়াস উদ্দিনের সাথেও ছিল সাথীর পরকীয়া সম্পর্ক। এর দ্বন্দ্বে গিয়াস উদ্দিন একরামুল হক ও অলিউল্লাহকে নিয়ে রাসেলকে হত্যা করে লাশ চিওড়া রাস্তার মাথায় ফেলে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বাহার বলেন, এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ আদালতও এই রায় বহাল রাখবেন।