Naya Diganta

সুপার লিগে গাজী, অবনমন টাইগার্সের

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গতকাল সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ। আর হেরে নেমে গেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলে অবনমন ঠেকাতে পারত রূপগঞ্জ টাইগার্স। কিন্তু পারেনি তারা। তানভীর হায়দার ও আহরার আমিনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটের দারুণ জয় পায় পারটেক্স। অন্য ম্যাচে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সুপার লিগে উঠেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে গেল মোহামেডান।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করে পারটেক্সকে ২৬০ রানের লক্ষ্য দেয় রূপগঞ্জ। জবাবে খেলতে নেমে ১৪ রানে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। তৃতীয় উইকেটে রাকিব ও জিহাদুজ্জামান মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। এর পরই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তানভীর হায়দার ও আহরার আমিন। তাদের হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ বল আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে পারটেক্স। তানভীর ৮০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে আহরার ৫৮ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে আবু হাসিম চারটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জসিমউদ্দিনের ৮১ এবং সোহাগ গাজীর ৬৭ রানের ওপর ভর করে রূপগঞ্জ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান সংগ্রহ করে।

সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচ গাজীর বোলারদের তোপের মুখে ১৮০ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। গাজী গ্রুপ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় উইকেটে আনিসুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের জুটিতে ১৩১ রান পায়। আনিসুল ৬১ রানে আউট হলেও হাবিবুর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৮১ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান নিজের অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসটিকে। তার এই ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই গাজী ২৪.১ ওভারে জয়ের দেখা পেয়ে যায়।

তিনে থাকল মোহামেডান
১১ ম্যাচের সবগুলো জিতে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার খুব কাছে আবাহনী লিমিটেড। আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান শিরোপার লড়াই থেকে অনেকখানিই পিছিয়ে। কাল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে অবস্থান দলটির। এ অবস্থায় শিরোপা জিততে সুপার লিগে নিজেরা জিতলেই হবে না, আবাহনীকে হারতে হবে! সব মিলিয়ে কঠিন সমীকরণের মারপ্যাঁচে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে ১৩৫ রানে অলআউট হয় ব্রাদার্স। জবাবে খেলতে নেমে ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ২৩.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় মোহামেডান। রনি তালুকদার ১০ রান করে আউট হওয়ার পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কান (১) রানে ফেরেন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যেও কেউই টিকে থাকতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই করেছেন অভিজ্ঞ ইমরুল। তার অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পায় মোহামেডান। ৭১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান ইমরুল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে নাসুমের স্পিন বিষে নীল হয় ব্রাদার্সের ব্যাটাররা। মোহামেডানের নাসুম ১০ ওভারে ২২ রান খরচায় শিকার করেন ৫টি উইকেট। এ ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার তিন উইকেট।